গত কয়েক বছর একেবারে শেষ মুহূর্তে দল গোছানো শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। যার প্রভাব এসেছিল দলের পারফরম্যান্সে। প্রথা মেনে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে শেষ করাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল লাল-হলুদের। তবে এই মরশুমে একের পর এক দলকে পিছনে ঠেলে দিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল।
তারপর আইএসএলের মাঝামাঝি সময় থেকেই নতুন মরশুমের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে মশাল ব্রিগেড। মরশুমের একেবারে শেষের দিকে তারা নিশ্চিত করেছে ফরাসি ফুটবলার মাদিহ তালালকে। এই সিজনে পাঞ্জাব এফসির হয়ে খেললেও আগামী দুইটি সিজনের জন্য ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামবেন তিনি। যা এক প্রকার চূড়ান্ত বলাই চলে।
এছাড়াও নিজেদের দলের বেশকিছু ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইমামি ম্যানেজমেন্টের। যাদের মধ্যে রয়েছেন হিজাজি মাহের থেকে শুরু করে ক্লেটন সিলভা এবং সাউল ক্রেসপোর মত ফুটবলাররা। উল্লেখ্য, সাউল ক্রেসপোর সঙ্গে কথাবার্তা অনেক আগে থেকেই শুরু করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে গোটা বিষয়টি। এছাড়াও গত কয়েকদিন আগে দলের অন্যতম দাপুটে ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরকে দুই বছরের চুক্তিপত্র প্রেরন করেছে ইস্টবেঙ্গল। যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী খুব শীঘ্রই সেই চুক্তিপত্রে সাইন করে দেবেন এই বিদেশি ফুটবলার।
কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো পরিষ্কার হয়ে যাবে সমস্ত কিছু। তবে এসবের মাঝেই উঠে এলো এক নয়া তথ্য। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আগামী দুইটি মরশুমের জন্য ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে চলেছেন হিজাজি মাহের। এসবের মাঝেই ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইয়িন এফসির দিকে নজর পড়েছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের।
বিশেষ সূত্র মারফত খবর সেই দলের তরুণ মিডফিল্ডার নিনথোই মেতেইয়ের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে এই প্রধান। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তার সঙ্গে চেন্নাইয়িন দলের চুক্তি থাকলেও এখনো তা বাড়ানোর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তার বর্তমান দল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তাকে দলে নিতে চাইছে মশাল ব্রিগেড। যদিও এই নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি এই ফুটবলার।