হুয়ান ফেরেন্দোর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজামের শহরে হায়দরাবাদকে (Hyderabad FC) আটকে দিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ তেজ ক্রমশ বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত গোল করতে ব্যর্থ থাকে ওগবেচের দল। একই পরিস্থিতি সবুজ-মেরুন শিবিরের। লিস্টনের ভুল পাসের পাশাপাশি প্রীতমদের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করায় শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত ভাবেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
নাহলে যেকোনো সময় অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারত ফেরেন্দোর ছেলেরা। এবার আইএসএল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। প্রতিপক্ষকে মরন কামড় দিয়ে ফাইনালের টিকিট পাকাপাকি করতে মরিয়া সকলেই। সেইমতো দল সাজাতে শুরু করেছে দুই পক্ষ। তবে এবারের ম্যাচ ঘরের মাঠে থাকায় যেন বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পেতে চায় সবুজ-মেরুন।
সেইমতো আজ দর্শকদের জন্য টিকিট সম্পর্কিত সম্পূর্ণ তথ্য ফেসবুক পেজে তুলে ধরা হল এটিকে মোহনবাগানের তরফ থেকে। যারফলে, বিকেলের পাশাপাশি আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবুজ-মেরুন তাঁবুর পাশাপাশি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ৪ নম্বর বক্স অফিস থেকে মিলবে হায়দরাবাদ ম্যাচের অফলাইন টিকিট। পাশাপাশি অনলাইন টিকিট তোলার ক্ষেত্রে যুবভারতীর ৪ নম্বর বক্স অফিসেই যেতে হবে সকলকে। মোট কথা সমর্থকদের উন্মাদনা কে হাতিয়ার করেই ফাইনালের টিকিট পেতে চাইছে বুমোসরা।
উল্লেখ্য, গত ম্যাচে চোটের কারনে খেলতে পারেননি আশিক। যারফলে লিস্টন কোলাসো কে দিয়েই নিজেদের দল নামিয়ে ছিলেন স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু গোটা সিজন জুড়ে অফ ফর্মে থাকার ফলে বিপক্ষে গোল বক্সে ঢুকে ও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হন তিনি। পাশাপাশি, গোটা ম্যাচ জুড়ে যথেষ্ট নিষ্ক্রিয় থাকেন দলের অন্যতম ভরসা হুগো বুমোস। তবে বিশাল কাইথের মতো গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী তারকা দলের তিন কাঠির দায়িত্বে থাকায় হাজারো চেষ্টা করে ও গোলের মুখ খুলতে পারেননি হায়দরাবাদ। ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে ওগবেচে মাঠে নামলে ও নিজের পুরোনো জাদু দেখাতে ব্যর্থ হন তিনিও।
কিন্তু এবার সেমির দ্বিতীয় লেগে এই ভরসাযোগ্য তারকা তথা গোল মেকার কে পুরো সময় খেলানোর কথা ভাবছে হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট। যা রীতিমতো চিন্তার কারন হতে পারে এটিকে মোহনবাগানের জন্য। কারন হিসেবে সবার আগে উঠে আসে দলে বক্স স্ট্রাইকারের অভাব। দিমিত্রি-বুমোসের মতো একাধিক তারকা দলে থাকলেও আদতে কেউই তারা স্ট্রাইকার নন। অন্যদিকে আক্রমন থেকে রক্ষন সর্বত্র খেলোয়াড় পরিপূর্ণ হায়দরাবাদে। তাই গত ম্যাচের তুলনায় এবারের এই সেমি যে যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে, তা ভালোই টের পাচ্ছেন বাগানের হেডস্যার।