কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েও সুইডিশ দলের কাছে হেরে গেল ডালমিয়া ছাবারিয়ারা

Sports Desk: স্টকহোম স্টেডিয়ামে শনিবার, ২৩ অক্টোবর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে আয়োজিত দ্বিতীয় ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সুইডিশ দল জুরগার্ডেন আইএফ’র বিরুদ্ধে ভারতীয় মহিলা দল হেরে গেল।   ভারতীয় মহিলা…

Indian women's team

Sports Desk: স্টকহোম স্টেডিয়ামে শনিবার, ২৩ অক্টোবর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে আয়োজিত দ্বিতীয় ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সুইডিশ দল জুরগার্ডেন আইএফ’র বিরুদ্ধে ভারতীয় মহিলা দল হেরে গেল।  

ভারতীয় মহিলা টিমের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে ফরোয়ার্ড ফ্যানির গোলে সুইডিশ দল জুরগার্ডেন আইএফ জয় ছিনিয়ে নেয়।ভারতীয় কোচ টমাস ডেনারবাই শ্রেয়াকে গ্লাভস দিয়েছিলেন। সুইডিশ দলের বিরুদ্ধে আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পিয়ারির সাপোর্টং ফুটবলার হিসেবে মণীষা এবং ডাংমেই গ্রেসের সাথে ৪-৩-৩ লাইন আপ দিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিলেন।

সুইডিশ দল ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের খাতা খুলতে পারত, কিন্তু গোলকিপার শ্রেয়া হুডা বিপদমুক্তি ঘটায়। দশ মিনিট পর, অঞ্জুর লং-কার্লিং কর্নার ফার পোস্টে আশালতার দেখা পেলেও জুরগার্ডেন আইএফ’র গোলকিপার সময়মতো সেভ করেন।

শ্রেয়া ম্যাচের প্রথম আধ ঘন্টা আগে বল পায়ে অ্যাকশনে আসলেও এনগোলোকে হারিয়ে গোল করতে পারেননি। সঞ্জু গ্রেসের জন্য একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু ওই প্রচেষ্টা গোলরক্ষক কেলসি সময়মতো আটকে দেন।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে জুরগার্ডেন আইএফ’র হয়ে ফ্যানি প্রথম গোল করতেই সুইডিশ দল গুরুত্বপূর্ণ লিড পায়। এই একমাত্র গোলেই সুইডিশ দল ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলকে কঠিন লড়াই’র মুখে পড়ে জয়ী হয়।
ম্যাচের রঙ বদলাতে ভারতীয় কোচ টমাস ডেনারবাই তিনটি পরিবর্তন করেন, যথাক্রমে ডালমিয়া ছাবারিয়া, গ্রেস এবং আস্তাম ওরাওনের বদলে মিশেল কাস্তানহা, সুমতি কুমারী এবং রঞ্জনা চানুকে মাঠে নামান। এই

বদলের ডিভিডেন্ড ভারত তোলার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু সুমতির ক্রস ৬৩ মিনিটে টার্গেট মিস করে।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিটে রঞ্জনা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন। মনীষা একটি দুরন্ত প্রচেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।। এক মিনিট পরে, ইন্দুমাথির ফ্রি-কিক থেকে ভারত গোলের সুযোগ পেলেও রঞ্জনার লক্ষ্য মিস হয়।

ভারত: শ্রেয়া হুডা (গোলকিপার); আস্তাম ওরাওঁ (রঞ্জনা ৫৮), আশালতা দেবী (মনীষা পান্না ২৯), সুইটি দেবী, ডালমিয়া ছাবারিয়া (মিশেল কাস্তানহা ৫৮); সঞ্জু (ঋতু রানী ৮০), অঞ্জু তামাং (সন্ধিয়া ৭০), ইন্দুমাথি কাথিরেসান; মনীষা, পেয়ারি জাক্সা (রেণু ৮০), ডাংমেই গ্রেস (সুমতি কুমারী ৫৮)।