সুনীল-মহেশ ম্যাজিকে দিশেহারা নেপাল, সেমিফাইনাল নিশ্চিত ভারতের

ফের জয়। গত টুর্নামেন্ট থেকে যে জয় রথ ছুটতে শুরু করেছিল, তা আজও বজায় রাখল ভারতীয় ফুটবল দল। যারফলে খুব সহজেই এবার সেমিফাইনালে উঠে গেল…

Sunil-Mahesh Magic Disorients Nepal

ফের জয়। গত টুর্নামেন্ট থেকে যে জয় রথ ছুটতে শুরু করেছিল, তা আজও বজায় রাখল ভারতীয় ফুটবল দল। যারফলে খুব সহজেই এবার সেমিফাইনালে উঠে গেল ভারতীয় ফুটবল দল। তবে আজ জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল সুনীল-মহেশের স্পেশাল কম্বিনেশন। যা সামলাতে গিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হয় নেপাল দলের ডিফেন্ডারের। প্রথমার্ধের শেষে খেলার ফলাফল গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে অন্যরকম ছন্দে ধরা দেয় সুনীল ব্রিগেড।

দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরু থেকেই বারংবার আক্রমণ শানাতে শুরু করেছিল অনিরুদ্ধ থাপারা। তবে বারংবার বাঁধা পড়তে হচ্ছিল প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে। নাহলে অনেক আগেই ব্যবধান বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারত ভারত। তবে দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে ৬১ মিনিটের মাথায় সাহাল আব্দুল সামাদের টাচ থেকে বল রিসিভ করে অতি দ্রুততার সাথে বল নিয়ে উপরে উঠতে থাকে নাওরেম মহেশ সিং। সেখান থেকে সোজা বল বাড়ান বক্সে উঠে আসা ছেত্রীর দিকে। সেখান থেকেই প্রথম গোল। সুনীলের সেই গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। এই গোলের ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মোট ৯১ টি গোল করে ফেললেন এই ভারতীয় তারকা।

তবে সেখানেই শেষ নয়। তারপর ঠিক ৯ মিনিট পর প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে থাকে ভারতীয় দল। তখন সাহালের থেকেই বল চলে যায় সুনীল ছেত্রীর কাছে। কিন্তু প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে লেগে সোজা ধাক্কা খায় বার পোস্টে। তবে সেটিকে ফলো করে এগিয়ে আলতো করে হেড দিয়ে গোল করে যান নাওরেম মহেশ সিং। যারফলে, জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোল করে ফেললেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এই ২-০ ব্যবধানেই ম্যাচ জিতে নেয় ব্লু টাইগার্স। বলাবাহুল্য, ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সাহাল থেকে শুরু করে রাহুল ভেকে ও উদান্তারা। নাহলে অনেক বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিততে পারত ভারতীয় ফুটবল দল।