কোহলি রোহিতদের নিয়ে আক্ষেপ গাভাস্কারের, কি করেছেন তাঁরা?

বর্তমান ক্রিকেটরদের সুনীল গাভাস্কারের কাছে সাহায্য চাইতে না আসা নিয়ে তাঁর ক্ষোভ বহুকালের। তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাট হাতে খারাপ সময় চলাকালীন একই অভিযোগ…

Gavaskar

বর্তমান ক্রিকেটরদের সুনীল গাভাস্কারের কাছে সাহায্য চাইতে না আসা নিয়ে তাঁর ক্ষোভ বহুকালের। তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাট হাতে খারাপ সময় চলাকালীন একই অভিযোগ করেছিলেন ভারতের এই কিংবদন্তি প্রাক্তন ওপেনার, বিরাট তাঁর কাছে সাহায্য নিতে যাননি।

এইবার বিষয় বদলালেও অভিযোগ একই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের হার এখনও দগদগে। সেই বিপুল রানের হার কিছুতেই মানতে পারছেন না গাভাস্কার। বিশেষত শুরুর দিকে ব্যাটিংয়ের এই ধরাশায়ী অবস্থা যেন সত্যিই মানা যায় না। ব্যাটাররা প্রতিবার একই ভুল করায় গাভাস্কার পরিস্কার বললেন, টেকনিকে সমস্যা না থাকলে এমন জিনিস হয় না। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার বলেন পুরোনো দিনে তৎকালীন খেলোয়াড়রা আসতেন গাভাস্কারের কাছে সাহায্য নিতে। নামও নেন কিছু সেরা ভারতীয়দের, যেমন, সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ। তবে এখন সমস্যা থাকলেও রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলিরা কেউ পরামর্শ নিতে আসেন না।

সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘যদি কোনও ব্যাটার বার বার একই ভুল করে তা হলে বুঝতে হবে তাঁর টেকনিকে কোনও সমস্যা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সেই ব্যাটারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এখনকার ব্যাটারেরা কারও কাছ থেকে পরামর্শ নেন না। তাই কোচের উচিত তাঁদের সঙ্গে কথা বলা।’’

Advertisements

এই বিষয়ে কথা বলার সময়ে বীরেন্দ্র সহবাগের সঙ্গে তাঁর আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আনেন গাওস্কর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এক বার হঠাৎ সহবাগকে ফোন করে বলেছিলাম ওঁর ব্যাটিং গার্ডে বদল করতে। আগে ও লেগস্টাম্প গার্ড নিয়ে খেলতেন। ওঁকে বলেছিলাম অফস্টাম্প গার্ড নিতে। তা হলে অফস্টাম্পের বাইরের বল ছাড়তে ওঁর সুবিধা হত। সহবাগ আমার কথা শুনেছিলেন। কিন্তু এখন কি কেউ শুনবেন!’’

সহবাগ বারবার বলেন যে রোহিত কোহলিরা কোনোদিন পরামর্শ চাইতে আসেননি তাঁর কাছে। তিনি যোগ করেন, “‘আগে সচিন, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণেরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। ওঁদের কোনও সমস্যা হলে আমার পরামর্শ নিতেন। আমার পরামর্শ দিতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তার জন্য তো আমার কাছে আসতে হবে। এখন আর কেউ আমার কাছে আসেন না। হতে পারে নিজেরাই সমস্যা সমাধান করতে পারেন ওঁরা।’’