ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার দিনগুলোর কথা ভুলতে চাইবেন সুমিত পাসি (Sumit Pasi)। অহরহ লাল হলুদ সমর্থকদের সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল তাকে। সমর্থকদের সমালোচনা অবশ্য অহেতুক ছিল না। ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ পেয়েও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ভারতের এই অভিজ্ঞ ফুটবলার। ইন্টার কাশির হয়ে প্রথম ম্যাচে নজর কেড়েছেন সমালোচিত পাসি।
সাইড ব্যাক হিসেবে সুমিত পাসিকে আই লীগের প্রথম ম্যাচে ব্যবহার করেছেন ইন্টার কাশি কোচ কার্লোস সান্টামারিনা। গোটা ম্যাচে মাঠে রইলেন তিনি। খেলা শেষে তার রেটিং ৪.১। রেটিং অনুযায়ী প্রথম একাদশে থাকা দলের অন্যান্য ফুটবলারদের থেকে কম, কিন্তু ভালো। একবার হলুদ কার্ড দেখেছেন।
সুমিত পাসিকে ইস্টবেঙ্গলে নিয়ে এসেছিলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। ইউটিলিটি ফুটবলারকে হিসেবে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন নিজের ছাত্রকে। রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণভাগ, একাধিক পজিশনে খেলিয়েছিলেন সুমিতকে। শেষ পর্যন্ত লাল হলুদ শিবিরে স্টিফেন কিংবা সুমির কেউই সফল হননি। দু’জনকেই বিদায় জানিয়েছিল ক্লাব ম্যানেজমেন্ট।
ভারতীয় ফুটবলের নতুন দল ইন্টার কাশি। শনিবার প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল তারা। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী দল গোকুলাম কেরালা ফুটবল ক্লাব। ম্যাচে দু’বার পিছিয়ে পড়ার পরেও পয়েন্ট নিয়ে মাঠে ছেড়েছে ইন্টার। ৯১ মিনিটে গোল করে ইন্টার কাশির হয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন মহম্মদ আশিফ খান। পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।