Subhash Bhowmick: প্রথাগত ট্রেনিং না থেকেও বিশ্বসেরা কোচ হয়ে উঠেছিলেন মালদার সুভাষ

ক্রীড়া জগতকে ধাক্কা দিয়ে শনিবার ভোররাতে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক (Subhash Bhowmick)। তাঁর এহেন মৃত্যু ফুটবল দুনিয়ার যে অপূরণীয় ক্ষতি…

ক্রীড়া জগতকে ধাক্কা দিয়ে শনিবার ভোররাতে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক (Subhash Bhowmick)। তাঁর এহেন মৃত্যু ফুটবল দুনিয়ার যে অপূরণীয় ক্ষতি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক সময়ে এই দাপুটে ফুটবলার ছিলেন মালদার ছেলে। ১৯৬৭ সালে মালদহ থেকে ফুটবল খেলতে এসেছিলেন কলকাতায় ১৯৬৭ সালে। প্রথম ক্লাব ছিল স্পোটিং ইউনিয়ন। এরপর রাজস্থান হয়ে ইস্টবেঙ্গলে চলে যান ১৯৬৮ সালে।

ঠিক দুবছরের মাথায় অর্থাৎ ১৯৭০ সালে ‘এন্ট্রি’ করেন সবুজ-মেরুনে (Mohunbagan)। যদিও তিন বছরের মাথায় ফের ফিরে যান নিজের পুরনো দলে অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal)। আবার মোহনবাগানে গেলেন ১৯৭৬ সালে। ইস্টবেঙ্গলে ফিরলেন ১৯৭৯ সালে। সেখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন ভৌমিক। নিজের সময়ে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে তিনি ভারতবর্ষের সব ক্লাবের বিরুদ্ধে শুধু গোলই করেননি, আপামর ফুটবল প্রেমীকে নিজের খেলার দ্বারা মুগ্ধ করে দিয়েছিলেন।

   

বলা হয়, ভৌমিকের প্রথাগত কোনও ট্রেনিং ছিল না। তাও নিজের অভিজ্ঞতার জন্য একসময়ে তিনি ভারতবর্ষের এক নম্বর কোচ হয়ে উঠেছিলেন। কলকাতায় ‘ভোম্বল দা’ নামে পরিচিত ভৌমিক ১৯৭০ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন। সুভাষ তার ক্লাব ক্যারিয়ারে মোট ২৬ টি ট্রফি জিতেছিলেন – মোহনবাগানেই ১৮ টি ট্রফি জিতেছেন। সুভাষ ছয় বছর মোহন বাগানের হয়ে মোট ৮২ টি গোল করেছেন যার মধ্যে চারটি হ্যাটট্রিকও রয়েছে। তাঁর রেকর্ড রয়েছে, প্রথম বছর পাঁচটি ট্রফিতে খেলে পাঁচটিতেই চ্যাম্পিয়ন হন সুভাষ ভৌমিক। পেলেন কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড, নওগাঁ স্বাধীনতা কাপ, ডুরান্ড কাপ এবং জাতীয় লিগ।