নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে ফিরবেন আনোয়ার? প্রবল জল্পনা

গত কয়েক মাস ধরেই বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে আনোয়ার আলির (Anwar Ali) নাম। সময় এগোনোর সাথে সাথেই তাঁকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা দেখা দিয়েছিল ভারতীয়…

Anwar Ali

গত কয়েক মাস ধরেই বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে আনোয়ার আলির (Anwar Ali) নাম। সময় এগোনোর সাথে সাথেই তাঁকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা দেখা দিয়েছিল ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে। শেষ সিজনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলের হয়ে খেললেও এবার তিনি যোগ দিয়েছেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু হিসাব অনুযায়ী সবুজ-মেরুনের সাথে লোনে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন এই ভারতীয় ডিফেন্ডার। তবে নয়া সিজনে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অভাব বোধ করায় পুরনো দল ছাড়তে চান এই সেন্টার ব্যাক। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।

   

পরবর্তীতে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তাঁকে সই করিয়ে নেয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব। সেখান থেকেই দেখা দেয় দুই প্রধানের দ্বন্দ্ব। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি চলে যায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে। প্রথমদিকে অতি দ্রুততার সাথে কাজ হলেও পরবর্তীতে নানাবিধ কারণে পিছিয়ে যেতে থাকে শুনানি। এভাবেই কেটে যায় প্রায় দুটো মাস। অবশেষে গত মঙ্গলবার মোহনবাগান থেকে তাঁর ইস্টবেঙ্গলে যোগদান করা নিয়ে সিদ্ধান্ত জারি করে ফেডারেশনের বিশেষ কমিটি তথা পিএসসি।

সেই অনুযায়ী আগামী চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে আনোয়ার আলিকে। নিঃসন্দেহে যা বড়সড় ধাক্কা। জাতীয় দলের এই ফুটবলারের এমন শাস্তি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেননা খেলোয়াড় সহ ফুটবলপ্রেমীদের একটি বিরাট অংশ। এছাড়াও শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে। যা অনেকটাই চাপে রাখবে দেশের এই দুই ফুটবল ক্লাবকে। এসবের মাঝেই বুধবার লাল-হলুদ তাঁবুতে দেখা গেল আনোয়ার আলিকে।

দলের অন্যান্য ফুটবলারদের সাথে অনুশীলন করতে গিয়েছিলেন এই তারকা ডিফেন্ডার। পিএসসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী চার মাস দলের জার্সিতে ম্যাচ খেলতে না পারলেও অনুশীলন করা নিয়ে কোনও প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। যারফলে এখনই মাঠে নামতে না পারলেও নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করে রাখছেন দেশের সেরা এই সেন্টার ব্যাক। গতকালের এমন সিদ্ধান্তের পরে ও বুধবার যথেষ্ট হাসিখুশি মেজাজে ধরা দিয়েছিলেন আনোয়ার আলি।

তাহলে কী পিএসসির নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরতে চলেছেন আনোয়ার? সেই উত্তরের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। তবে সেটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে আপিল কমিটির সিদ্ধান্তের উপর।