ভারতেই বিশ্বকাপ (World Cup) আয়োজিত হচ্ছে এইবার। অথচ বিশ্বকাপের একটিও ম্যাচ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল ভারতের বেশ কিছু মাঠ কর্তারা। এইবার সেই ক্ষোভ মেটানোর সামান্য চেষ্টা করল বিসিসিআই। ইন্দোর, রাজকোট, ধর্মশালার মতো মাঠগুলি এবার আয়োজন করতে চলেছে আসন্ন সিরিজগুলি।
২০২৩-২৪ মরসুমে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আটটি টি-টোয়েন্টি এবং পাঁচটি টেস্ট খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের মাধ্যমে ভারত তাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শুরু করতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ২২ সেপ্টেম্বর হবে মোহালিতে। ইন্দোর এবং রাজকোটে বাকি দুটি যথাক্রমে ২৪ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ দল ঘোষণা বিসিসিআইয়ের
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ জানান, মোহালি, নাগপুর, রাজকোট, ইন্দোর, তিরুবনন্তপুরমের মতো মাঠগুলি, যেগুলি বিশ্বকাপের একটিও ম্যাচ আয়োজন করার সুযোগ পায়নি, ঘরের মরসুমে ন্যূনতম দুটি ম্যাচ দিয়ে তাদের আয়োজন করার জন্য দেওয়া হয়েছে।
এই সপ্তাহেই বিসিসিআই তাদের মিডিয়া স্বত্বের জন্য টেন্ডার ঘোষণা করবে, কারণ বার্ষিক ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করতে হবে তাদের। আশ্চর্যজনক ভাবে অক্টোবর- নভেম্বরের পর কোনো পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট খেলছে না ভারত। পাশাপাশি আফগানিস্তানের সাথেও ম্যাচ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ তে একটি টেস্ট খেলেছিল তারা ভারতের বিরুদ্ধে। এবার সিরিজ খেলতে চলেছে তারা।
আরও পড়ুন: ODI Squad: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দল ঘোষণা বিসিসিআইয়ের
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ গুলি খেলা হবে বিশাখাপত্তনম (২৩ নভেম্বর), তিরুবনন্তপুরম (২৬ নভেম্বর), গুয়াহাটি (২৮ নভেম্বর), নাগপুর (১ ডিসেম্বর) এবং হায়দ্রাবাদে (৩ ডিসেম্বর)। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা হবে মোহালি (১১ জানুয়ারি), ইন্দোর (জানুয়ারি) এবং বেঙ্গালুরুতে (১৭ জানুয়ারি)।
ভারত বনাম ইংল্যান্ডের অ্যন্টনি ডি ভেলো ট্রফি অর্থাৎ পাঁচ টেস্টের সিরিজটি হতে চলেছে হায়দ্রাবাদ (২৫-২৮) জানুয়ারি), বিশাখাপত্তনম (২-৬ ফেব্রুয়ারি), রাজকোট (১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি), রাঁচি (২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি) এবং ধর্মশালাতে (৭-১১ মার্চ)।
ধর্মশালা এইবার একটি টেস্ট পেল কারণ বছরের শুরুতে মাঠে প্রস্তুতি চলছিল বলে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সময় একটিও টেস্ট ম্যাচ পায়নি তারা। ইংল্যান্ড সিরিজের পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শুরু হতে তিন সপ্তাহের ব্যবধান থাকবে।