কবে অবসর নিচ্ছেন সুনীল? জানিয়ে দিলেন স্টিমাচ

Sports news: দুই দলই দু’টি করে ম্যাচ জিতে ছ’পয়েন্ট করে নিয়ে লিগ টেবলের প্রথম দুই স্থানে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় হংকং এক নম্বরে ও ভারত…

When is Sunil Chhetri retiring? Informed Steamch

Sports news: দুই দলই দু’টি করে ম্যাচ জিতে ছ’পয়েন্ট করে নিয়ে লিগ টেবলের প্রথম দুই স্থানে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় হংকং এক নম্বরে ও ভারত দুইয়ে। ফলে গ্রুপের শীর্ষে থেকে মূলপর্বে উঠতে হলে মঙ্গলবারের ম্যাচ ড্র রাখলেও চলবে হংকংয়ের। কিন্তু ভারতকে এই ম্যাচে জিততেই হবে। জিততে না পারলে তাদের অপেক্ষা করে থাকতে হবে অন্যান্য গ্রুপের ফলের জন্য। কারণ, ছটি গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দলগুলির মধ্যে পাঁচটি দলও উঠবে মূলপর্বে। তবে ভারত দ্বিতীয় হয়ে নয়, প্রথম দল হিসেবে মাথা উঁচু করে মূলপর্বে উঠতে চায়। মঙ্গলবার রাতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে ম্যাচ দিয়েই যবনিকাপাত ঘটবে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের।

হংকং শক্তিশালী হলেও, জয়ের বিষয়ে কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসী ইগর স্টিমাচ। পাশাপাশি গত ম্যাচের অন্যতম নায়ক সাহাল আবদুল সামাদকে প্রথম একাদশে রাখা হবে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর সোজাসাপটা উত্তর, ‍‘কাকে বার করব, বলুন? এটা আমার কাছে একটা ভাল লাগার মতো মাথাব্যথা। একটা দলের প্রথম এগারো তার শক্তি নয়। পুরো ২৪-২৫ জন খেলোয়াড়ই সেই দলের শক্তি। বাড়তি যে পাঁচ-ছ’জন থাকে দলে, তারাও। এ থেকেই বোঝা যায় দল কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল। তাই প্রথম এগারো নিয়ে প্রশ্ন না করাই ভাল। দলের সবাই আমার প্রথম এগারোয় থাকতে পারে। দলের যে ৩০তম সদস্য, তাকেও সমান খিদে, ইতিবাচক মনোভাব এবং উদ্দম নিয়ে অনুশীলন করতে হবে, যাতে যে কোনও ম্যাচে তাকে দরকার হলেই সে প্রথম এগারোয় থাকা যে কোনও খেলোয়াড়ের মতোই খেলে দেখিয়ে দিতে পারে। সে দিন যেমন সহাল দেখাল। বেঞ্চে বসেও ওদের মতো ইতিবাচক ও ধৈর্যশীল থাকাটা বড় ব্যাপার। এমনকী দীপক (টাঙরি), (হরমনজ্যোৎ সিং) খাবরারও প্রশংসা করতে হবে। ওরা জানে ওরা প্রথম দলে থাকবে না।’

   

স্টিমাচের সাংবাদিক সম্মেলনে দলের তথা দেশের সেরা তারকা সুনীল ছেত্রীর প্রসঙ্গ উঠবে না, তা আবার হয়। স্টিমাচ বললেন, ‍‘সুনীলকে দেখে জুনিয়ররা উজ্জীবিত হয়। সেই জন্যই তো সুনীল দলের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। ১০০ গোল না করা পর্যন্ত আমি ওকে যেতে দিচ্ছি না। এবার থেকে ওর অবসর নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন করবেন না। ১০০ গোল না হওয়া পর্যন্ত ও অবসর নেবে না। দ্বিতীয়ত, আমার মনে আছে, কী ভাবে রজার মিল্লা (ক্যামেরুনের প্রাক্তন ফুটবল তারকা) ৩৮ বছর বয়সে বিশ্বকাপে গোল করেছিল। আমার মনে হচ্ছে সে রকম দিন আমাদের ফুটবলেও আসবে। আমি চাই, তখনও সুনীল আমাদের সঙ্গে থাকুক এবং এই অনুভুতি নিয়ে সে তার ফুটবল জীবন শেষ করুক। আমার মনে হয়, ও নিশ্চিত ভাবে তা পারবে। ওর পেশী, ওর শরীর, ওর দায়িত্ববোধ—এ সবই ওকে আরও বহু দিন আমাদের সঙ্গে থাকতে সাহায্য করবে। আপনারাও ওর অবসর নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন করবেন না।