Sports News : লাথি মেরে ঘর ভেঙে দিয়েছিল প্রশাসন, চোখে জল ভারতীয় মহিলা অলিম্পিয়ানের

Sports News : ‘আপনাদের কেন কিছু বলবো আমি?’ সংবাদ মাধ্যমে আক্ষেপের সঙ্গে বলেছিলেন ছত্তিশগড়ের প্রথম মহিলা অলিম্পিয়ান রেণুকা যাদব (Renuka Yadav)। পয়সা থাকলে লোকে সালাম…

Sports News : ‘আপনাদের কেন কিছু বলবো আমি?’ সংবাদ মাধ্যমে আক্ষেপের সঙ্গে বলেছিলেন ছত্তিশগড়ের প্রথম মহিলা অলিম্পিয়ান রেণুকা যাদব (Renuka Yadav)। পয়সা থাকলে লোকে সালাম করে, না থাকলে তফাৎ যাও। নিজের জীবন থেকে উপলব্ধি ভারতের তারকা অলিম্পিয়ানের।

ছত্তিশগড়ের প্রথম মহিলা অলিম্পিয়ান রেণুকা যাদব। মাটির এক কামরা ঘরে থাকতেন তিনি। ওই একটা ঘরেই থাকা খাওয়া। উনুনে রান্না বসাতেন মা। রেণুকার হকির প্রতি ভালবাসা অল্প বয়স থেকে। সংসারে চাল বাড়ন্ত হলেও মেয়ের পাশে থেকেছে পরিবার। পাসপোর্ট সহ সরকারী কাগজপত্র প্রস্তুত করার জন্য গয়না বন্ধক রেখেছিলেন রেণুকার মা।

‘ হকি খেলে প্রথম উপার্জন দিয়ে আমি গ্যাস সিলিন্ডার কিনেছিলাম। মা উনুনে রান্না করতো। গ্যাস কিনে দিয়েছিলাম প্রথম উপার্জন দিয়ে।’ কথা বলতে বলতে চিকচিক করে উঠছিল রেণুকার চোখ। ‘একজন আমাকে বললেন পাসপোর্ট তৈরি করে দিতে দশ হাজার টাকা নেবেন। ওতো টাকা তখন কোথা থেকে পাবো। মা হাতের আংটি, গয়না যা ছিল সব বন্ধক রেখে দিতে বলল।’

যারা হকি খেলোয়াড় হতে চান, তাদের কাছে রেণুকা যাদব অনুপ্রেরণার উৎস। ‘অলিম্পিক খেলেও আমাদের এই হাল। যারা অলিম্পিক খেলতে পারবে না তাদের কী অবস্থা হতে পারে ভেবে দেখুন।’ সাংবাদিকদের বলেছেন ভারতের জাতীয় দলের তারকা।

‘এখন আমি যা কিছু সেটা হকির জন্য। হকি আমাকে সব দিয়েছে। নিজের টাকায় দু’তলা বাড়ি তুলেছি।’ একই সঙ্গে বললেন, ‘ আমাদের পাকা বাড়ি ছিল না। সরকারের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলাম, বলতে গেলে ভিক্ষা করেছিলাম। কোনও লাভ হয়নি। নিজেরা যখন বাড়ি করতে গেলাম তখন নগর পুরনিগমের লোক এসে আমাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছিল। লাথি মেরে মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির দেওয়াল। সব জিনিসপত্র বের করে দেওয়া হয়েছিল… এখন আমাকে কেউ কিছু বলে না। কারণ এখন আমার পরিচিতি রয়েছে।’

সাতাশ বছর বয়সী রেণুকা যাদব খেলেছেন অলিম্পিকে। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে ভারতের কনিষ্ঠতম সদস্য ছিলেন তিনি।