বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আরজি কর মেডিকেল কলেজের নৃশংস (RG Kar Hospital Rape-Murder Case) ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ।সাধারন জনতা থেকে তারকা, রাজপথে নেমে সকলের একটাই দাবি অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে সরানো হয়েছিল ডুরান্ড কাপের হাইভোল্টেজ ডার্বি সহ আরো একাধিক ম্যাচ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিন গ্যালারি থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে টিফো নামানোর পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। যা খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা।
যারফলে মাঠের লড়াই নেমে আসে রাজপথে। ডার্বি বাতিল হলেও গত ১৮ই আগস্ট সল্টলেক চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করে তিন প্রধানের সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান হোক কিংবা মহামেডান। মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল সব। একটা সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্টেডিয়াম চত্বরে আনা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের বচসার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
এই ডামাডোল পরিস্থিতির ফলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল। একই ভাবে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচের ক্ষেত্রে ও সেরকম পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে শর্ত সাপেক্ষে বাংলায় ফিরিয়ে আনা হয় সেগুলি। যারফলে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ জয় করার সুবাদে ঘরের মাঠেই সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ চলে আসে মোহনবাগানের কাছে।
তবে এই ম্যাচে টিফো বা ব্যানার আনা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা শোনা গেলেও সেটা কাজে আসেনি। বিধাননগর পুলিশের তরফে জারি করা সেই নির্দেশিকা অনায়াসেই খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সুবাদেই মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারি থেকে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেখা যায় ময়দানের দুই প্রধানের সমর্থকদের।
পুরনো রীতি মেনেই ম্যাচের আগে গ্যালারি থেকে ছাড়া হয় একটি বিশেষ টিফো। যেখানে সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ জার্সিতে দেখা যায় দুই তরুণীকে। সেই টিফোতেই বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘হাতে হাত রেখে লড়াই।’ এবং ‘আমাদের বোনের বিচার চাই।’ যা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে সর্বত্র।