বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে আইসিসিতে শুরু ‘শাহী-শাসন’!

এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরু হতে চলেছে শাহী-শাসন। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত (Jay Shah ICC chairman) হয়েছেন। এর ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে…

এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরু হতে চলেছে শাহী-শাসন। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত (Jay Shah ICC chairman) হয়েছেন। এর ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে কার্যত নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মহল।

২৭ তারিখই আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। গত চার বছর ধরে থাকা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ বার্কলে এবার আর মনোনয়ন দাখিল করেননি। অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বীও হেভিওয়েট শাহের বিরুদ্ধে মনোনয়ন পেশে আগ্রহ দেখায় নি। ফলে কার্যত জয় শাহের জয় নিশ্চিত ছিল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল। ২৭ তারিখ মনোনয়ন পেশের সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পরই নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয় জয় শাহের নাম।

   

আইসিসির সংবিধান অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান দু বছরের মেয়াদে মোট তিন বার নির্বাচিত হতে পারেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের জনপ্রিয় নাম বার্কলের চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু কার্যত এবার তিনি স্বেচ্ছায় এই চেয়ারম্যান পদের লড়াই থেকে সরেই দাঁড়ালেন মনে করা হচ্ছে।

অপরদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে কেউ সর্বোচ্চ ৬ বছরের মেয়াদে থাকতে পারবেন। তারপরেই তাকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জয়ের কাছে আরও এক বছরের মেয়াদ হাতে রইল চেয়ারে থাকার জন্য। অপরদিকে প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী এই মুহূর্তে কিন্তু কুলিং অফ পিরিয়ডেই রয়েছেন।

এর আগে জগমোহন ডালমিয়া যখন আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তখন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রচুর উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নয় উপমহাদেশীয় ক্রিকেটেও ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছিল। ভারতের পড়শীদেশ বাংলাদেশের ক্রিকেট ক্ষেত্রে উন্নতির পেছনেও তৎকালীন চেয়ারম্যান ডালমিয়ার অবদানের কথা অনেকেই বলে থাকেন।

আর সেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন জয় শাহ। যিনি সম্পর্কে ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একাধিক নেতা-নেত্রী এবং মন্ত্রীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অমিত পুত্রের এই জয়ে। আপাতত বিশ্ব ক্রিকেটের শাসনভার আগামী দু বছরের জন্য এক ভারতীয়র হাতে।

শুধু ভারতবর্ষ নয়, উপমহাদেশের ক্রিকেট মহলও অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অপেক্ষা করছে এক নতুন যুগের সূচনার। একদা পূর্বসূরী জগমোহন ডালমিয়াকেও কাজের নিরিখে টপকে যেতে পারবেন কী জয়? এদিকেই তাকিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসক মহল।