বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিওঁ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের (Spain vs England) সমর্থক উপস্থিতির সংখ্যা ছিল তুলনামূলক বেশি। থ্রি লায়ন্স-এর অনুগামীরা আশা করেছিলেন এবার ‘ফুটবল ফিরবে ঘরে’ (ফুটবল কামিং হোম)। আশায় জল ঢালল স্পেন। জল ঢালল বলা ভুল, ইংল্যান্ডের ট্রফ্রি জয়ের আশা গুঁড়িয়ে দিল স্প্যানিশ আর্মাডা। ইউরো ২০২৪ (UEFA Euro 2024) ট্রফি শোভা পাবে ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ জয়ীদের দেশে।
Copa America 2024: হামেসদের হারিয়ে মেসিদের সামনে সেরা দল হওয়ার সুযোগ
ফাইনাল ম্যাচ স্পেন, ইংল্যান্ড দুই দল শুরু থেকে ছিল সাবধানী। চার ডিফেন্ডারের সামনে অতিরিক্ত দু’জন মিডফিল্ডার রেখে দল সাজিয়েছিলেন গ্যারেথ সাউথগেট ও লুইস ডে লা ফন্টে। প্রথম অর্ধে আক্রমণের থেকে মাঝমাঠে লড়াই হল বেশি। ব্যবস্থা ছিল জোনাল মার্কিংয়ের। হ্যারি কেন বল ধরলে ছেঁকে ধরছিলেন স্পেনের একাধিক ফুটবলার। কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও হ্যারি পারেননি। ফিল ফডেন ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে বেশি সুন্দর। ইংল্যান্ডের কাছে গোল করার সুযোগ এসেছিল। তৈরি ছিল স্পেনের ডিফেন্স। বিরতির আগে স্পেনও গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। পারেননি আলভারো মোরাতা।
নিকো ডেডলক ভেঙেছিলেন ৪৬ মিনিটে। এগিয়ে গিয়েছিল স্পেন। যেন প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া সুস্বাদু খাবার। উদোরস্থ করার অপেক্ষা। একজন, দু’জনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে লামিন ইয়ামাল (Lamime Yamal) বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মাঠের বাম প্রান্তের দিকে। নিশ্চিত গোলের গন্ধ পেয়ে ছুটে আসছিলেন নিকো উইলিয়ামস (Nico Williams)। বল পায়ের নাগালে আসা মাত্র শট। ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড শরীর ছুঁড়ে দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। ধারাভাষ্যকারদের উত্তেজিত কণ্ঠে, ‘গোল, গোল, গোল, গোল…’।
Copa America 2024: ৩৭ বছর বয়সে ইতিহাস গড়লেন সুয়ারেজ
পিছিয়ে পড়ার পর দু’টি পরিবর্তন করেছিলেন সাউথগেট। মাঠ থেকে তুলে নেন হ্যারি কেন, কোবি মেইনো-কে। মাঠে নামান ওলে ওয়েটকিন্স ও কোল পালমারকে। কোল পালামর মাঠে নামলেন ৭০ মিনিটে, গোল করেন ৭৩ মিনিটে। মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে গোল। স্প্যানিশ বক্সে তখন ফুটবলারদের ভিড়। সেই ফাঁকে অনেকটা দূর থেকে মাটি ঘেঁষা শট নেন পালমার। পায়ের জঙ্গল পেরিয়ে বল ঠিক পৌঁছে যায় জালে। স্পেন ১-১ ইংল্যান্ড। খেলা আরও বাকি।
কোল পালমার সুপার সাব হতে পারতেন। হতে পারলেন না মিকেল ওয়ারজাবালার কারণে। তিনিও পরিবর্ত ফুটবলার। মাঠে নেমেছিলেন মোরাতার জায়গায়। মোরাতা গোল করতে পারেননি। গোল করে দলকে জেতালেন মিকেল। ইউরোপ সেরা স্পেন।