snober samander: ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে কাশ্মীরের স্নোবার

কাশ্মীরের ওয়ারপোরা সোপোরে পাওয়া গেছে এমনই একজনকে, নাম স্নোবার সামান্ডার (snober samander)। গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজ ফর উইমেন সোপোরের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্রী স্নোবার। স্কুলে

snober samander

গত কয়েক বছর ধরে কাশ্মীরের যুবতীরা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের অনেকেই খেলাধুলাকেই বেছে নিচ্ছেনে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। কাশ্মীরের ওয়ারপোরা সোপোরে পাওয়া গেছে এমনই একজনকে, নাম স্নোবার সামান্ডার (snober samander)। গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজ ফর উইমেন সোপোরের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্রী স্নোবার। স্কুলে পড়াকালীনই ক্রিকেট চর্চা শুরু করেন তিনি।

দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ করার পর গভর্নমেন্ট গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সোপোরেতে ভর্তি হন তিনি। সেখানে খেলার মাঠ না থাকার কারণে দুই বছর ক্রিকেট খেলতে পারেননি। তবে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করে কলেজে আসতেই সক্রিয়ভাবে ক্রিকেট খেলা আরম্ভ করেছেন তিনি। গ্রেটার কাশ্মীর সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময়, স্নোবার বলেছিলেন যে তিনি গত দুই বছর ধরে বারামুল্লা গেম সুইংগার্স ক্রিকেট ক্লাবের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
স্নোবার বলেন, “আমার দলে আমি ওপেনার হিসেবে খেলি। ফলে বেশি বল খেলার জন্য অনেকটা সময় পাই। কাশ্মীর জুড়ে অনুষ্ঠিত নানা বড় টুর্নামেন্টে নিজের দলের প্রতিনিধিত্ব করেছি। এবং সম্প্রতি আমি উত্তর কাশ্মীর মহিলা প্রিমিয়ার লিগে সর্বাধিক ১৭৮ রান করার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপ রয়েছে আমার নামে।”

ওষুধের দোকানের কর্মচারী মেয়ে স্নোবার স্বপ্ন দেখেন ভারতের হয়ে খেলার, নিজের আদর্শ মনে করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরকে। জীবনে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে স্নোবারকে। স্নোবার আরো বলেন, ” আমি কোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে অনুশীলন করতে চেয়েছিলাম। তাই দুই বছর আগে শ্রীনগর যাই আমি। সেখানে কোচিং বিনামূল্যে ছিল ঠিকই, তবে ওখানে বোর্ডিংয়ে থাকা খাওয়ার খরচ দিতে না পারায় মাত্র দুই মাস পরেই ফিরে আসতে হয় আমায়।”

এলাকায় একজন মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তা স্বীকার করেছেন স্নোবার। তবে তাঁর লক্ষ্য অর্জনে পরিবারের সাহায্যের কথাও ভোলেননি তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন স্নোবার যাতে তিনি ভবিষ্যতেও ভালোবেসে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে পারেন।