Mount Everest : এভারেস্টে থিকথিকে ভিড়, ‘বাবা দেখলে অবাক হতেন’ বললেন তেনজিং নোরগের ছেলে

মে মাসের ২৯ তারিখ, সাল ১৯৫৩। তেনজিং নোরগে (Tenzing Norgay) এবং স্যার এডমুণ্ড হিলারি (Sir Edmund Hillary) পৌঁছেছিলেন এভারেস্টের (Mount Everest) চূড়ায়। সাড়া পড়ে গিয়েছিল…

মে মাসের ২৯ তারিখ, সাল ১৯৫৩। তেনজিং নোরগে (Tenzing Norgay) এবং স্যার এডমুণ্ড হিলারি (Sir Edmund Hillary) পৌঁছেছিলেন এভারেস্টের (Mount Everest) চূড়ায়। সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বে। সেই এভারেস্টে এখন পর্যকটকদের ভিড়। প্রতি বছর শয়ে শয়ে মানুষ সেখানে পাড়ি দেন অ্যাডভেঞ্চারের নেশায়।

এভারেস্ট চূড়ায় মানুষের ভিড় বিস্মিত করে শেরপা তেনজিং নোরগের ছেলে জামলিং তেনজিং-কে। ‘বাবা বেঁচে থাকলে অবাক হতেন’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য টেলিগ্রাফের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন শেরপা। ‘এখন যে সংখ্যক মানুষ এভারেস্টে যাচ্ছেন সেটা দেখলে বাবা নিশ্চয় অবাক হতেন। পর্বতে যে ধরণের মানুষ যাচ্ছেন বা পর্বতকে নিয়ে যে চর্চা তা বিস্ময়কর।’

প্রথম এভারেস্ট জয়ের প্রায় সাত দশক পূর্ণ হতে চলেছে। বিপদসংকুল তুষার শৃঙ্গে ছুটে যাচ্ছেন কাতারে কাতারে মানুষ। পর্বত গাত্রে পর্যটকদের লম্বা সারির ছবি বহুবার উঠে এসেছে আলোচনায়। ব্রিটেনের কেন্টন কূল এভারেস্ট আরোহণ করেছেন সতেরোবার। অ-শেরপা হিসেবে যা এক নজির।

সাক্ষাৎকারে জামলিং বলেছেন যে চলতি বছর প্রায় ৩৬০ জনকে এভারেস্ট শৃঙ্গে যাওয়ার অনুমতি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পর্বতারোহীদের সঙ্গে থাকবেন শেরপা-সহ আরও কর্মচারী। সব মিলিয়ে বেস ক্যাম্পে মোট সংখ্যা ছুঁতে পারে দু’হাজার। স্বস্তিতে নেই জামলিং। তাঁর মতে এতো মানুষের সমাগম সমস্যার কারণ হতে পারে।

Mount Everest
বাবা তেনজিং নোরগের মূর্তির সামনে ছেলে জামলিং।

‘আমি যদি এভারেস্টে উঠতাম তাহলে কখনই তিনশোজনের সঙ্গে একসঙ্গে যেতাম না। অন্য কোনো সময় বা মরশুম বেছে নিতাম। কিন্তু কখনই তিনশোজনের সঙ্গে নয়। জীবনের ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে।’

‘পারমিট সংখ্যা কমিয়ে সমস্যা কিছুটা কমানো যেতে পারে। কিন্তু এটা সম্ভব না। অনেকের রুটিরুজির ব্যাপার রয়েছে’, বলেছেন তেনজিং-পুত্র। ‘প্রতি বছর এভারেস্টের পারমিট দিয়ে নেপাল সরকার প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন ডলার (মাথাপিছু প্রায় এগারো হাজার ডলার) উপার্জন করে। গত বছর আয় হয়েছিল আনুমানিক ৫ মিলিয়ন ডলার।’