বিশ্ব ক্রিকেটকে কাঁদিয়ে আচমকাই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন শেন ওয়ার্ন (Shane Warne)। থাইল্যান্ডে মাত্র ৫২ বছর বয়সে হৃগরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হল এই প্রাক্তন লেগস্পিনার। প্রায় এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর অবশেষে অজি কিংবদন্তির নিথর দেহ এল তাঁর জন্মভূমিতে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ওয়ার্নের মরদেহ আনা হয়।
থাই পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে আসে ওয়ার্নকে বহনকারী কফিন। সেই কফিনটিকে অস্ট্রেলিয়ার পতাকা দিয়ে মুড়ে আনা হয় মেলবোর্নে। শোনা যাচ্ছিল, অজি সরকার প্রয়াত ওয়ার্নকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানাবে এমসিজিতে, তাঁর প্রিয় মাঠে। এবার তার দিনক্ষণও ঘোষণা হয়ে গেল। আগামী ৩০ মার্চ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ওয়ার্নকে শেষ বিদায় জানাবে অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসন সরকার।
১৯৯৪ সালে অ্যাসেজে হ্যাটট্রিক থেকে শুরু করে ২০০৬ সালে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ, এই সব কীর্তিই ওয়ার্ন গড়েছিলেন এই মেলবোর্নে। এমসিজিকে ঘিরে অনেক সুখস্মৃতি রয়েছে তাঁর। ভিক্টোরিয়ার স্টেট প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ এদিন টুইট করে বলেন, ‘ওয়ার্নিকে শেষ বিদায় জানাতে এমসিজির চেয়ে ভালো মঞ্চ আর গোটা বিশ্বে নেই।’ তবে তার আগে ওয়ার্নের পরিবারের পক্ষ থেকে একটা শেষকৃত্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। যা থাকবে একান্ত ব্যক্তিগত। তার পর এমসিজিতে রাজকীয় ভাবে হবে শেষ বিদায়।
ওয়ার্নের ম্যানেজার জেমস এরস্কিন এদিন দাবি করেছেন, কিংবদন্তি লেগির শেষকৃত্যে যোগ দিতে উৎসুক গোটা বিশ্ব। তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা আসতে পারবেন, সশরীরে এমসিজিতে আসবেন। যাঁরা পারবেন না, তাঁরা বার্তা পাঠাবেন। তবে সবাই আসতে চান। যেমন এল্টন জন নিজের একটা শো ওয়ার্নের নামে উৎসর্গ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া একটু দূর। নাহলে প্রচুর মানুষ এখানে আসতেন।” জানা গিয়েছে, এমসিজিতে ওয়ার্নকে চিরবিদায় জানানোর অনুষ্ঠানে টিকিটের বন্দোবস্ত করা হতে পারে। যাতে সবাই বসে দেখতে পারেন। তবে কত লোক আসবেন, তা নির্ভর করবে ওয়ার্নের পরিবারের ওপর। তাঁদেরই বলা হয়েছে, সেটা ঠিক করতে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের উপস্থিত কার্যত নিশ্চিত। বিখ্যাত দুই গায়ক ক্রিস মার্টিন এবং এড শিরানেরও ৩০ মার্চ অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।