গোয়া ম্যাচের পর এবার ফের ধাক্কা খেল মুম্বাই সিটি এফসি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পেট্রো ক্র্যাটকির ছেলেরা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল সামিল চেম্বাকাথের দুর্বল হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) সঙ্গে। পূর্ণ সময়ের শেষে গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হয় এই ম্যাচ। যা নিঃসন্দেহে চমকে দিয়েছে সকলকে। উল্লেখ্য, এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছিল অ্যালেন পাওলিস্তার থেকে শুরু করে সাই গডার্ডরা। তবে প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ডিফেন্স ভেঙে গোল করা সহজ ছিল না হায়দরাবাদের কাছে।
তবে সুযোগ বুঝে পাল্টা আক্রমণ করতে ভোলেনি আইএসএল জয়ী মুম্বাই। লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে থেকে শুরু করে জর্জ ওর্টিস হোক কিংবা ভ্যাননিফ। হায়দরাবাদের রক্ষণভাগ ভেঙে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন বারংবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং আব্দুল রাবি সহ অ্যালেক্স সাজি এবং মনোজ মহম্মদের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার মানসিকতার সামনে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয় পেট্রো ক্র্যাটকির ছেলেদের। এছাড়াও হায়দরাবাদ এফসির গোলরক্ষকের দক্ষতায় বারংবার আটকে যায় গতবারের আইএসএল জয়ীরা।
বলতে গেলে আর্শদীপ সিংয়ের একের পর এক সেভের মধ্যে দিয়েই যেন বদলে যায় ম্যাচের পরিস্থিতি। এই ভারতীয় গোলরক্ষকের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে চমকে দিয়েছে সকলকে। ম্যাচ শেষে সেই সমস্ত কিছু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সামিল চেম্বাকাথ বলেন, “এটা খুবই কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। আমি জানতাম মুম্বাই সিটি এফসি-র ম্যাচটা কঠিন হবে। আমার মনে হয় এই সিজনে আমি যে কঠিন ম্যাচগুলো খেলেছি, তার মধ্যে এটি অন্যতম। তাঁদের দলের আক্রমণভাগ প্রতি মুহূর্তে আমাদের চ্যালেঞ্জে রেখেছিল। তবে আমাদের ছেলেরা ভালো খেলেছে। তবে রক্ষণভাগ আরও মজবুত করতে হবে।”
আর ও বলেন, ” আমার মতে এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সাথে ড্র যথেষ্ট ভালো দিক। তবে ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় আমরা তিন পয়েন্ট আশা করেছিলাম। তবে সকলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি যথেষ্ট খুশি।” পাশাপাশি দলের গোলরক্ষকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে সে কীভাবে এমন পরিস্থিতিতে একাধিক সেভ করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় আর্শ খুব ভালো কাজ করেছে। এমন পারফরম্যান্স সকলকে উৎসাহিত করবে।”