Bharatiya Football: বড়সড় অভিযোগের সম্মুখীন ইগর স্টিমাচ, কিন্তু কেন?

আবারও ফের সংবাদ শিরোনামে স্টিমাচ। এবার কি বললেন ভারতীয় দলের (Bharatiya Football) হেডকোচ? জানা গিয়েছে, কোনো টুর্নামেন্ট শুরু করার আগে ভুপেশ শর্মা নামক এক জ্যোতিষীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নেন স্টিমাচ।

Igor stimac

গত কয়েকদিন আগেই কিংস কাপ শুরু করার আগে দলের খেলোয়াড়দের অবস্থান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে সেমিফাইনালে ইরাকের কাছে পরাজিত হওয়ার পর প্রেস কনফারেন্সে ও আসেননি স্টিমাচ। তবে ঘন্টাকয়েক পরে নিজের সোশ্যাল সাইট থেকেই রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় তাকে। আবারও ফের সংবাদ শিরোনামে স্টিমাচ। এবার কি বললেন ভারতীয় দলের (Bharatiya Football) হেডকোচ? জানা গিয়েছে, কোনো টুর্নামেন্ট শুরু করার আগে ভুপেশ শর্মা নামক এক জ্যোতিষীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নেন স্টিমাচ। কিছু সময় আগে ফেডারেশনের এক শীর্ষকর্তাই নাকি আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তার সঙ্গে।

এবার সামনে আসল নয়া তথ্য। এবার প্রকাশ্যে এসেছে একটি অভিনব চ্যাট। যেখানে তার উদ্দেশ্য স্টিমাচ বলেন, “হ্যালো ফ্রেন্ড। আসন্ন ১১ জন খেলোয়াড়দের তালিকা কি তোমার পক্ষে দেখানো সম্ভব হবে? ম্যাচ শুরু হবে আটটা বেজে তিরিশ মিনিটে।”অর্থাৎ ম্যাচের জন্য মোট ১১ জনের স্কোয়াড দেখে নিতে চাইছেন তিনি। এক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের একটি তালিকাও নাকি পাঠানো হয় স্টিমাচের তরফ থেকে।

   

এরপরেই নাকি সেইসমস্ত খেলোয়াড়দের পাশে বিশেষ বিশেষ মন্তব্য জুড়ে দেন সেই জ্যোতিষী। যেখানে লেখা ছিল “ভালো”,”অনবদ্য”, “খুব ভালো খেলবে” “এই দিনের জন্য নয়” র মতো বিষয়গুলি। জানা গিয়েছে, সেই জোতিষীর কথা মেনেই নাকি আফগানিস্তান ম্যাচের দল সাজিয়েছিলেন ভারতীয় হেডকোচ। শুনতে অবাক লাগছে? তবে এটাই সত্যি। এমন ঘটনা শুধু একবার নয়, একাধিকবার নাকি জ্যোতিষীর পরামর্শ মেনে দল সাজিয়েছেন তিনি।

তবে সেখানেই শেষ নয়, প্রতি ম্যাচের আগেই নাকি এই জ্যোতিষীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন ইগর স্টিমাচ। কোনদিন কোন খেলোয়াড় ভালো খেলবে, কিংবা কোন পজিশন আজ ভালো খেলবে সেই সমস্ত কিছুই নাকি ঠিক হত জ্যোতিষীর কথা মতো। যা নিয়ে বর্তমানে দেখা দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন।

পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, গোটা বিষয়টি চলত সম্পূর্ণভাবে একটি চুক্তির মাধ্যমে। এক্ষেত্রে স্টিমাচ একটি জনপ্রিয় মাধ্যমকে জানান, যে মাত্র কয়েকটি মাসের জন্য নাকি ভূপেশের মতামত গ্রহণ করা হয়েছিল তাদের তরফে। তবে এক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে কোনও রকমের মন্তব্য করা হয়নি।