উত্থান হল না মিশরীয় সভ্যতার, আফ্রিকা সেরা মানের সেনেগাল

কোনও প্রতিযোগিতায় দুই সেরা দলের লড়াই ঠিক যেরকম হওয়া উচিত ছিল, সেরকমটাই হয়েছে। একেবারেই শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল। বিনা যুদ্ধে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ।…

কোনও প্রতিযোগিতায় দুই সেরা দলের লড়াই ঠিক যেরকম হওয়া উচিত ছিল, সেরকমটাই হয়েছে। একেবারেই শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল। বিনা যুদ্ধে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। তবে খেতাব নির্ধারণী ম্যাচ বলে কথা, চ্যাম্পিয়ন তো একটা দলকে হতেই হবে! ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও খেলা গোলশূন্য থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো আফ্রিকান নেশন্স কাপ জিতে ইতিহাস গড়েছে সেনেগাল।

মিশর-সেনেগালের বদলে লড়াইটা যেন হয়ে উঠেছিল মহম্মদ সালাহ বনাম সাদিও মানের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শত্রুপক্ষ নিধনে নামেন দুই সতীর্থ। কিন্তু এদিন তাঁরা পরিণত হয়েছিলেন একে অপরের শত্রুতে। শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে হারলেন সালাহ, হাসলেন মানে। ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মানে। কিন্তু টাইব্রেকারে সেই ভুলের প্রায়ঃশ্চিত্ত করে শেষ শটে সেনেগালিজদের আনন্দে ভাসালেন তিনি।

আফ্রিকার রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশর তাদের সর্বশেষ শিরোপাটি জিতেছিল ২০১০ সালে। ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। এক যুগের অপেক্ষার অবসান হল না এবারও। অন্যদিকে, গত আসরের (২০১৯ সালে) রানার্সআপ ছিল সেনেগাল। এর আগে আরও একবার তারা আফ্রিকা সেরা দৌড়ে দ্বিতীয় হয়েছিল। সেটা ২০০২ সালে। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচল। প্রথমবার আফ্রিকা নেশন্স কাপে চ্যাম্পিয়ন হল সেনেগাল।

ফাইনালে দাপট দেখিয়েই খেলেছে সেনেগাল। বল দখল কিংবা শট সব জায়গায়ই এগিয়ে ছিল তারা। মিশর যেন ম্যাচটা টাইব্রেকারে নেওয়ারই চেষ্টা করছিল। তাদের সে চেষ্টা সফল হয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এবারও মিশরকে বাঁচানোর জোর চেষ্টা করেছেন গোলরক্ষক মহম্মদ আবু গাবাল। মূল ম্যাচে সাদিও মানের পেনাল্টি ঠেকানোর পর টাইব্রেকারেও আটকে দিয়েছিলেন ফেরান বোনা সারের শট। কিন্তু মিসরের আব্দল মোনেমের শট পোস্টে লাগার পর মহম্মদ লাশিনও ব্যর্থ হন। সেনেগালের হয়ে গোল করেন কালিদু কলিবালি, আব্দু দিয়ালো, বাম্বা ও মানে।

নির্ধারিত সময়ের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সেনেগাল। মানেকে আব্দুল মোমেন ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু মিশরকে ফাইনালে তোলা গোলরক্ষক আবু গাবাল ঠেকিয়ে দেন সাদিও মানের বুলেট গতির স্পট কিক। ২৮তম মিনিটে সুযোগ এসেছিল মিসরেরও। সালাহ কয়েকজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু গোল বরাবর দুর্বল শট নিয়ে হতাশ করেন মিশরীয় মেসি।