১৯৯৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে Stade de France – এর মেগা ফাইনাল শুরু’র আগে মাথায় হাত ব্রাজিল দলের সমর্থক’দের। ফাইনালে সেলেকাও দলের প্রথম একাদশে নেই রোনাল্ডো লুইস (Ronaldo)। কিন্তু তা সত্বেও খেলেছিলেন তিনি।এতো গুলো বছর কেটে গেলেও এই ঘটনার নেপথ্যের কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি কারোর কাছেই। সদ্য ব্রাজিল কিংবদন্তি এই বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামত জাহির করেছেন।
ফাইনালের দিন দুপুরে খাওয়ার শেষে বিশ্রাম নিতে বিছানায় যান রোনাল্ডো।এরপর আচমকা অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।শরীর জুড়ে শুরু হয় অদ্ভুত খিঁচুনি।যখন তার জ্ঞান ফিরেছিলো, তখন দেখেন তাকে ঘিড়ে দাড়িয়ে রয়েছেন তার সতীর্থ’রা।ছিলেন টিম ডাক্তার।কেউ কিছুই বলছিল না ব্রাজিলের সুপার স্টার’কে, যে তার ঠিক কি হয়েছে।তিনি সবাইকে তাকে একা ছেড়ে দিতে বলেন, সেই সময় সতীর্থ লিওনার্দো তাকে হোটেলের বাগানে হাঁটতে নিয়ে যান,এবং জানান ফাইনালে তার পক্ষে খেলা সম্ভব নয়।
যদিও এরপর রোনাল্ডোর শারীরিক পরীক্ষা করা হলে জান যায় কোনও কিছু’ই খারাপ নেই তার শরীরে।কিন্তু তৎকালীন ব্রাজিলের কোচ মারিও জাগালো’কে রোনাল্ডো বলেন,তিনি খেলবেন’ই ।কার্যত জোর করে সেই ম্যাচে খেললেও রোনাল্ডো’কে একেবারেই চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি সেই’দিন।হয়তো তার জন্য দলের ক্ষতি’ও হয়েছিল, ফাইনাল হেরে খেসারত দিতে হয়েছিল ব্রাজিল’কে।
সেইবার ফাইনালে রোনাল্ডো’কে ছাপিয়ে যান আরেক তারকা ফ্রেঞ্চ ফুটবলার জিনেদিন জিদান।তার করা জোড়া গোলে সেইবার প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিলো ফ্রান্স।সেইবছর বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতলেও পরবর্তী সময়ে দারুণ সমালোচিত হয়েছিলেন রোনাল্ডো।