Rohit Sharma: “বিশ্বকাপ দেখতেই চাইনি..”- ২০১১ বিশ্বকাপ খেলতে না পারার কথা শোনালেন রোহিত

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বুধবার আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১ এর দল থেকে তার বাদ পড়া, এবং কীভাবে…

Rohit Sharma

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বুধবার আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১ এর দল থেকে তার বাদ পড়া, এবং কীভাবে সেটি তার জীবন এবং খেলাকে পরিবর্তন করেছিল, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

বুধবার চেন্নাইতে লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি) এর বিরুদ্ধে রোহিতের দল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর এলিমিনেটর ম্যাচ খেলছে। তার আগেই জিও সিনেমার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর সেই সময়কার গল্প শোনান রোহিত। সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেন যে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ায় তার খেলা এবং রুটিনে অনেক পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। সেই বছরটি তার জন্য একটি বড়সড় “ধাক্কা” ছিল। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, অর্থাৎ রোহিতের ঘরের মাঠে, ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল ভারত। তখন রোহিত তরুণ উড়তি খেলোয়ার। পাশে দাঁড়িয়ে পুরো ম্যাচ দেখেছিলেন তিনি।

   

রোহিত সাক্ষাৎকারে বলেন, “২০১১ সালটা আমার কাছে একটি বড় ধাক্কার বছর ছিল। বিশ্বকাপে দলে যায়গা না পাইনি। এতে নিজেকে ছাড়া দোষ দেওয়ার কেউ ছিল না আমার। এরপর আমি আমার খেলায় অনেক কাটা ছেড়া করেছি। যোগব্যায়াম ও ধ্যান করেছি। একা থাকা অভ্যাস করেছি। এসব অনেক সাহায্য করেছে আমাকে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে অনেক কিছু বদলাতে হবে। নয়তো জীবনের যে প্রান্তে রয়েছি, সেখানে উন্নতি না করলে আমার আর ক্রিকেট খেলা হবে না। ২০১৪-১৫ এর মধ্যে নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন করেছি, কারণ আমি জানতাম আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই। আমি কীভাবে আমার দলকে সাহায্য করতে পারি এবং নিজেকে অন্য স্তরে নিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে অনেক ভাবতে হয়েছিল আমায়। আমি নিজেই তাদের উত্তর খুঁজে পেয়েছি।”

রোহিত জানান, “সত্যি বলতে কি, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ছাড়া আমি নিজে বিশ্বকাপের একটা ম্যৃচও দেখিনি। কারণ আমি এতটাই হতাশ ছিলাম যে আমি দেখতেও চাইনি। যতবারই আমি টিভি খুলেছি, বারবার মনে হয়েছিল যে আমি সেখানে থাকতে পারতাম। কী ভুল হয়েছিল, কেন হয়েছিল ইত্যাদি জিনিসপত্র আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খেত!”

তবে এটা বলা ভালো যে রোহিত ফিরে এসেছিলেন। ২০১৩ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তে শিখার ধাওয়ানের সাথে সেইবার প্রথম ওপেন করলেন রোহিত। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। সেইবার দুটি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৩৫.৪০ গড়ে পাঁচ ইনিংসে ১৭৭ রান করেছিলেন। ভারত জিতেওছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। রোহিত শর্মার হাত ধরে ভারত দ্বিতীয় বার ট্রফি পেল। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল তাঁর হাত ধরে।

২০১৫ সাল দিব্ব গেছিল রোহিতের। ৮ ম্যাচে ৪৭.১৪ গড়ে ৩৩০ রূন করেন। একটি সেঞ্চুরি ও দুটো হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে দুঃখের বিষয়, সেমি ফাইনালের পর আর এগোতে পারেনি ভারত।

২০১৯ এর বিশ্বকাপে ন’ ম্যাচে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। গোটা টুর্নামেন্টে ৮১ গড়ে ৬৪৮ রান করেন তিনি। সেমিফাইনালেই দাঁড়াতে পারলেন না, আর নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে সেদিন দুমড়ে মুচড়ে গেল ভারত। সর্বসাকুল্যে ১৭টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন রোহিত। ৬৫.২০ গড়ে ৯৭৮ রান রয়েছে তাঁর।

২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতেই হতে চলেছে এই টুর্নামেন্ট। অনেক আশৃর বোঝা কাঁধে নিয়ে মাঠে নামবেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এখন দেখায বিষয়, সেই আশা তিনি কতদূর কি রাখতে পারেন।