ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে আসার আগেই সমস্যায় দল

স্কোয়াডে রয়েছেন প্রচুর উঠতি ফুটবলার। সেই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ একাধিক ফুটবলারকে। মরসুমের শুরুটাও ভালো হবে এমনটা আশা করেছিল রেনবো অ্যাথলেটিক ক্লাব (Rainbow AC)।

rainbow athletic club

খাতায় কলমে মোটের ওপর বেশ ভালো দল। স্কোয়াডে রয়েছেন প্রচুর উঠতি ফুটবলার। সেই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ একাধিক ফুটবলারকে। মরসুমের শুরুটাও ভালো হবে এমনটা আশা করেছিল রেনবো অ্যাথলেটিক ক্লাব (Rainbow AC)। কিন্তু হল উল্টোটা। একটি পয়েন্টও পেল না দল।

নতুন মাসের প্রথম দিনে ছিল কলকাতা ফুটবল লীগের উপভোগ্য ম্যাচ। দমদমের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল জর্জ টেলিগ্রাফ এবং রেনবো অ্যাথলেটিক ক্লাব। জর্জ টেলিগ্রাফ কলকাতা ফুটবল লীগের পরিচিত দল। অন্য দিকে রেনবো ক্রমে নিজেদের গুরুত্ব বুঝিয়েছে কলকাতার টুর্নামেন্টে। এবারে ভালো দল গড়ে ময়দানের ফুটবল প্রেমীদের প্রত্যাশা আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। সঞ্জু প্রধানের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে দলে নিশ্চিত করেছে রেনবো অ্যাথলেটিক ক্লাব।

জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠে ছিলেন না সঞ্জু সহ একাধিক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। এক গোল পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষের ওপর মুহুর্মুহু চাপ বাড়িয়েছিল তারা। প্রতি আক্রমণ এবং প্রেসিং ফুটবলে এক সময় জর্জ টেলিগ্রাফের ফুটবলারদের নাজেহাল করে করে ছেড়েছিলেন রেনবোর ফুটবলাররা। ম্যাচে ফিরে আসার জন্য তারা সবই করলেন, হল না শুধু গোলটা। ম্যাচ শেষে রেনবো অ্যাথলেটিক ক্লাব কোচের তাই আক্ষেপ, ‘সব কিছু ঠিকঠাক করেছিলাম আমরা। গোল এলো না।’

ফুটবল মাঠে গোলটাই শেষ কথা। গোল করতে না পারলে এক কেমন খেলেছে সেটা অনেকেই মনে রাখেন না। আক্রমণ গড়ার ক্ষেত্রে যে ত্রুটি রয়ে গিয়েছে, সঞ্জু প্রধানরা মাঠে যোগ দেওয়ার পর সেগুলো মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। অন্য দিকে জর্জ টেলিগ্রাফের হয়ে এবং ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেছেন সন্দীপ মনোহরণ। তিনি বেঙ্গালুরু থেকে এসেছেন।