জয়ের ধারা বজায় রাখল লাল-হলুদ। আজ নৈহাটিতে রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট লিগের (Reliance Development League) দ্বিতীয় ম্যাচে সুরুচি সংঘকে ৪-১ গোলে পরাজিত করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন সৌরভ। পাশাপাশি একটি করে গোল করেন রোসেল ও তুহিন।
আগামী ২০ মার্চ ওডিশা এফসির বিপক্ষে লিগের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে লাল-হলুদ শিবির। তবে আজকের এই জয়ের ফলে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দলের ফুটবলাররা। আগমী ম্যাচে ও তা বজায় থাকলে, আসন্ন ডার্বিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় থাকবে দুই প্রধানের সমর্থকরা।
বলাবাহুল্য, আজ শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক মেজাজে খেলার পরিকল্পনা ছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের গতি বাড়াতে থাকে তুহিন রা। যারফল স্বরূপ ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেয় রোসেল। সুরুচির ফুটবলাররা প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলে ও কোনো লাভ হয়নি। তারপরে ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন সৌরভ। এরপর ৩৪ মিনিটের মাথায় দলের অধিনায়ক তুহিন দাসের পা থেকে উঠে আসে দলের তৃতীয় গোল।
তবে সেখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৪১ মিনিটের মাথায় ফের প্রতিপক্ষের গোলে বল ঠেলে দেন সৌরভ। কিন্তু এই ছন্নছাড়া রক্ষনের মধ্যে ও প্রতি আক্রমন করতে ছাড়েনি নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ। তাদের ও মেলে সাফল্য। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে এসে সুরুচির হয়ে ব্যবধান কমান স্বর্নদ্বীপ। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ২ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদের গোলে বল ঠেলে দিয়ে ৪-০ থেকে ৪-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনও গোল না হলেও একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে দুটি দল। তবে আর কারুর পক্ষে ই গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। সব ঠিকঠাক চলতে থাকলেও ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় ঘটে যায় বিপত্তি। হঠাৎ গোলপোস্ট ছেড়ে বিপক্ষে দলের খেলোয়াড় কে মারতে আসেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক। যারফলে বেশ কিছুক্ষন বন্ধ রাখা হয় খেলা। এসবের পরে ও নির্ধারিত সময়ের শেষে ৪-১ গোলে ম্যাচ জেতে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে ম্যাচে মারামারি করার অপরাধে লাল কার্ড দেখতে হয় লাল-হলুদের গোলরক্ষক সহ আরেক ফুটবলার কে। পাশাপাশি লাল কার্ড দেখেন সুরুচির এক ফুটবলার।