ভারতের কেন্দ্রীয় চুক্তি (BCCI Central Contract) থেকে বাদ পড়েছেন দুই ক্রিকেটার ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan) ও শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। বলা হচ্ছে, ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় শাস্তি পেয়েছেন দুই তারকা। দুই ক্রিকেটারকেই বারবার সতর্ক করার পরেও ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেননি।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান প্রশ্ন তুলেছেন, বিসিসিআই যখন ঈশান কিষাণ ও শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে চুক্তি করেনি, তখন হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) সঙ্গে ব্যতিক্রম কী করে হল? পান্ডিয়াও দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন না। এই প্রশ্নের উত্তর এসেছে প্রকাশ্যে। হার্দিকের চুক্তি বাতিল না করার কারণ কী সে ব্যাপারে পাওয়া গিয়েছে ধারণা।
হার্দিক পান্ডিয়ার চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আলচোনার কেন্দ্রে এসেছে ইরফান পাঠানের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরাও ইরফানের এই প্রশ্নকে সমর্থন করছেন এবং উত্তর জানতে চান। হার্দিক আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন। যার কারণে তাঁকে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। তারপর থেকে আর ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা যায়নি পান্ডিয়াকে। হার্দিক ঘরোয়া ক্রিকেটেও অংশ নেননি। বিসিসিআইয়ের চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডারকে কেন্দ্র করে।
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তার বক্তব্য সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নাম না প্রকাশ করে সেই কর্তা জানিয়েছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা নিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিমের মতে, লাল বলের ক্রিকেটে বোলিং করার জন্য পান্ডিয়া এখনও পুরোপুরি ফিট নন। যে কারণে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে এখনই পান্ডিয়া পুরোপুরি তৈরি হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় আরও জানা গিয়েছে, ভারতীয় দলের হয়ে না খেললে ঘরোয়া ক্রিকেটে মন দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে বরোদার হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, পান্ডিয়া যদি তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না করেন, তাহলে বিসিসিআই তাঁর বিরুদ্ধেও বড় ব্যবস্থা নিতে পারে।