অধিনায়কোচিত ইনিংস ডু প্লেসির, বিধ্বংসী হ্যাজেলউড, সহজ জয় আরসিবির

প্রথমে ক্রিজে কিছুটা থিতু হওয়া। তারপর ঝড়। এভাবেই একার কাঁধে ব্যাট হাতে দলকে টানলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। আর বল হাতে জ্বলে…

প্রথমে ক্রিজে কিছুটা থিতু হওয়া। তারপর ঝড়। এভাবেই একার কাঁধে ব্যাট হাতে দলকে টানলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। আর বল হাতে জ্বলে উঠলেন জস হ্যাজেলউড। চার উইকেট নিয়ে আরসিবির জয়ের অন্যতম নায়ক বনে গেলেন অজি পেসার। এই দুই বিদেশি তারকার দাপটে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৮ রানে হারিয়ে জয়ের ধারা বজায় রাখল আরসিবি।

এদিন টসে জিতে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠান লোকেশ রাহুল। তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপে প্রায় সকলেই এদিন ব্যর্থ। একা কুম্ভের মতো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান ফাফ ডু প্লেসি। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন তিনি। একদিকে যখন অনুজ রাওয়াত, বিরাট কোহলিদের প্যাভিলিয়নে ফেরার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল, তখন উলটোদিকে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে ছিলেন প্রোটিয়া তারকা। তবে আফসোস একটাই, অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেন তিনি। প্রবল চাপের মুখে ৬৪ বলে ৯৬ রানের ইনিংস অবশ্য সেঞ্চুরির থেকেও দামি।

বিরাট কোহলি এদিন প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের অফফর্ম অব্যাহত। তবে এদিন যেভাবে আউট হলেন তিনি, দেখে মনে হল অনুশীলনে সতীর্থকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার একেবারে শিশুসুলভ ভাবে ফিরলেন। হতাশ হলেন নিজেও। আউট হওয়ার পর তাঁর অভিব্যক্তিতেই তা স্পষ্ট। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দারুণ খেলছিলেন। ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ রিভার্স সুইপের ভূত তাঁর মাথায় কেন চাপল, তার উত্তর হয়তো তিনি নিজেও দিতে পারবেন না। ১১ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে ফেরার পাশাপাশি কাণ্ডজ্ঞানহীন শটের জন্য তুলে দিলেন অনেক প্রশ্ন। শাহবাজ সঙ্গ দিলেন অধিনায়কের। রানআউট হওয়ার আগে বাংলার এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট খুইয়ে ১৮১ রানে পৌঁছয় আরসিবির স্কোর। যার সিংহভাগ কৃতিত্বই বর্তায় অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ওপর।

জবাবে লখনউ সুপার জায়ান্টসকেও শুরু থেকে চেপে ধরে বেঙ্গালুরু। ডি কক এবং মণীশ পান্ডে দ্রুত সাজঘরের পথ দেখান জস হ্যাজেলউড। ফর্মে থাকা রাহুল ৩০ রান করে আউট হন। চার নম্বরে নেমে ক্রুনাল পান্ডিয়া অবশ্য দারুণ ব্যাট করেন। বল হাতে একটি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটও জ্বলে উঠল তাঁর। দীপক হুডাও এদিন ব্যর্থ। ২৮ বলে ৪২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্রুনাল। তরুণ তুর্কি আয়ুস বাদোনিও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এদিন। ১৫ বলে ২৪ রান করে স্টোইনিস আউট হতেই জয়ের ক্ষীণ আশাটুকু শেষ হয়ে যায় লখনউয়ের। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট খুইয়ে ১৬৩ রানে থামে সুপার জায়ান্টসের লড়াই।