কথা বললেই কোটি কোটি

দোরগোড়ায় আইপিএল। যেখানে বহুদিন পর ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা মিলবে শাস্ত্রীর। এছাড়াও শোনা যাবে হাজারো ক্রিকেটারের গলা. দিবারাত্র কানে হেডফোন, মুখে বুম আর চোখেমুখে গোটা পৃথিবীর…

Ashwin and Ravi Shastri

দোরগোড়ায় আইপিএল। যেখানে বহুদিন পর ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা মিলবে শাস্ত্রীর। এছাড়াও শোনা যাবে হাজারো ক্রিকেটারের গলা. দিবারাত্র কানে হেডফোন, মুখে বুম আর চোখেমুখে গোটা পৃথিবীর উত্তাপ নিয়ে দুনিয়া কাঁপাবেন আকাশ চোপরা, ইরফান পাঠান, গৌতম গম্ভীর, পার্থিব প্যাটেল, নিখিল চোপড়া, কিরণ মোরের মতো ক্রিকেটাররা । কিছুদিন আগেই অবসর নেওয়া সুরেশ রায়নাও যোগ দিচ্ছেন ধারাভাষ্যে। এ আর নতুন কি ঘটনা? তবে আসল ঘটনা হলো এই ধারাভাষ্য দেওয়া এখন প্রায় অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তার কারণ? থলি ভর্তি টাকার হাতছানি। 

এক সময় ভারতীয় ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে রবি শাস্ত্রী বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে কণ্ঠ, অভিব্যক্তি ও চাঁছাছোলা মন্তব্য মিলিয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন শাস্ত্রী। এবারের আইপিএল-এ সুনীল গাভাস্কার, লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণদের দেখা যাবে ইংরেজি ধারাভাষ্যে। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে আরও থাকছেন মুরালি কার্তিক, দীপ দাশগুপ্ত, আঞ্জুম চোপরা। ধারাভাষ্যকক্ষের প্রিয় মুখ হার্শা ভোগলে তো থাকছেনই। আর বিদেশি ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যাবে ইয়ান বিশপ, অ্যালান উইলকিনস, পমি মবাংওয়া, নিক নাইট, ড্যানি মরিসন, সাইমন ডুল, ম্যাথু হেইডেন ও কেভিন পিটারসেনকে। আর সিলেক্ট ডাগআউটে থাকবেন অনন্ত ত্যাগী, নিরোলি মিডোস, গ্রায়েম সোয়ান, স্কট স্টাইরিসরা।

সূত্রের খবর, ইংরেজি ভাষায় যারা ধারাভাষ্য দেবেন, তাঁরা সবাই আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লাখ ডলার পাবেন পারিশ্রমিক হিসেবে। হিন্দি ধারাভাষ্য যাঁরা দেবেন, তাঁরা আয় করবেন ৮০ হাজার থেকে সাড়ে ৩ লাখ ডলার পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি আয় করেন সিলেক্ট ডাগআউটে যাঁরা থাকেন তাঁরা। স্টাইরিস-সোয়ানদের আয় পাঁচ লাখ থেকে সাড়ে সাত লাখ ডলারের মতো। অর্থাৎ ৪ কোটি ৩০ লাখ থেকে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আয় করবেন তাঁরা।

সূত্রের খবর ভারতীয়দের মধ্যে সুনীল গাভাস্কার সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। একটা আইপিএল থেকে তিনি পান প্রায় ৭ লক্ষ ডলার। এছাড়াও থাকে বিভিন্নরকম পার্কস। তবে শোনা যাচ্ছে ভারতের কোচের পদ ছেড়ে আসার পর রবি শাস্ত্রীও প্রায় সমপরিমাণ টাকা পেতে চলেছেন। সচিন টেন্ডুলকার খুব কমই বিশ্লেষকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি নিয়মিত না এলেও যে কোটা দিন আসন গ্রহণ করেন সে কটা দিনের জন্যই কয়েক কোটি নিয়ে ঘরে ফেরেন। 

লক্ষী যদি এতটাই দরাজ হন তবে কেন এমুখো হবেন না ব্যাড, প্যাড তুলে রাখা রায়নারা?