Ranjit Mukherjee: নার্সারি লিগের ফুটবল নিয়ে উদাসীনতায় হতাশ রঞ্জিত

৭১-এ-ও তিনি তরুণ! এখনও প্রত্যেকদিন ভোরে প্রায় ৪০ মিনিট মাঠে গিয়ে খুদে ফুটবলারদের সঙ্গে শারীরিক কসরৎ করেন, ফুটবলও খেলেন। তিনি রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় (Ranjit Mukherjee)। ৭০-৮০-র…

Ranjit Mukherjee footballer

৭১-এ-ও তিনি তরুণ! এখনও প্রত্যেকদিন ভোরে প্রায় ৪০ মিনিট মাঠে গিয়ে খুদে ফুটবলারদের সঙ্গে শারীরিক কসরৎ করেন, ফুটবলও খেলেন। তিনি রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় (Ranjit Mukherjee)। ৭০-৮০-র দশকে বাংলার ফুটবলের স্বর্ণযুগের এক ডাকসাইটে স্ট্রাইকার। ১৮ বছরের ফুটবল জীবনে সেই সময়ের কলকাতা লিগে দু’বার সর্বোচ্চ গোলদাতা। একবার মহম্মদ আকবরের সঙ্গে যুগ্মভাবে। আর একবার একা। ডাবল-লেগের কলকাতা লিগে তার গোল ৩৫-এর-ও বেশি! এর বাইরেও রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়ের এক অনন্য কীর্তি রয়েছে। যা তার অবসর নেওয়ার ৩৫ বছর পরেও অমলিন। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে প্রত্যেক টুর্নামেন্টে দলের প্রথম ম্যাচে গোল করার বিরল এক কীর্তি।

সেই রঞ্জিৎ মুখোপাধ্যায় খেলা ছাড়ার পর থেকেই কোচিংয়ে। উত্তর ২৪ পরগণায় যেখানে থাকেন সেই খড়দায় তার সাধের খড়দা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি। ১৯৮৯ থেকে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল। গত ৩৩ বছরে এই অ্যাকাডেমি থেকে সুব্রত পাল, লালকমল ভৌমিক, অনূর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ খেলা রহিম আলির মত অজস্র ফুটবলার প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সিনিয়র পর্যায়ের ফুটবলের মূল স্রোতে। এছাড়াও কলকাতা ফুটবলে ৩৩ বছর আগে শুরু হওয়া নার্সারি লিগে নিয়মিত খেলে এই কোচিং সেন্টার। একাধিকবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।

এখন খড়দা স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে ফুটবলারের সংখ্যা ১০৫। ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। মাঝে করোনা মহামারীর জন্য দু’বছর প্র্যাক্টিস-সহ সমস্ত কিছু বন্ধ ছিল অ্যাকাডেমির। গত এক মাস হল রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়রা অনুশীলন শুরু করেছেন। নার্সারি লিগও এবার হবে। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

তবু রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়ের হতাশা কাটেনি। নার্সারি ফুটবল ও তার ফুটবলারদের নিয়ে ফুটবল নিয়ামক সংস্থাগুলোর উদাসীনতাই রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়ের হতাশার মূল কারণ। বললেন, “তিন দশক ধরে আমরা নার্সারি লিগ খেলছি। সরকারি অনুদান পেয়েছি এর মধ্যে তিনবার। মোট চার লক্ষ টাকা। নার্সারি দলগুলোর জন্য আইএফএ-র একটা অনুদান দেওয়ার নিয়ম ছিল। সেটাও বছর চারেক আগে একবার পেয়েছিল আমাদের অ্যাকাডেমি। বছরে একটা করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। সেখান থেকে অর্জিত টাকায় অ্যাকাডেমি চলে। আমরা ছেলেদের কাছ থেকে একটা টাকাও নিই না। তার ওপর নিজেদের মাঠ নেই। খড়দায় রাজ্য সরকারের যে ফুটবল অ্যাকাডেমি চলে সেই মাঠে অনেক কষ্ট করে সপ্তাহে তিন দিন অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছি। রাজ্যে এত নার্সারি কোচিং সেন্টার রয়েছে। সরকার বা আইএফএ যদি একটু আর্থিক আর পরিকাঠামোগতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করত তাহলে বাংলা থেকে আরও ফুটবলার আমরা পেতাম।”

তবে এবার খড়দা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি স্বনির্ভর হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। শুরু করবে টেবিল টেনিস প্রশিক্ষণ এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে। সেই টাকায় টেবিল টেনিস আর খুদে ফুটবলারদের পরিচর্যা করবে তারা।