Ranji Trophy: চণ্ডীগড়কে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে রঞ্জির নকআউটে বাংলা

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে নকআউটের (Ranji Trophy)  টিকিট প্রায় কনফার্ম করে ফেলেছিল বাংলা। এবার তাতে সিলমোহর পড়ল। চণ্ডীগড়কে ১৫২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ১৮ পয়েন্ট…

Bengal Ranji Team

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে নকআউটের (Ranji Trophy)  টিকিট প্রায় কনফার্ম করে ফেলেছিল বাংলা। এবার তাতে সিলমোহর পড়ল। চণ্ডীগড়কে ১৫২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এলিট গ্রুপ বি-র শীর্ষে থেকে নকআউটে চলে গেল বাংলা।

বরোদা ও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচে বেশ কষ্ট করে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল অরুণ লালের দল। তবে চণ্ডীগড়কে হারাতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি বাংলাকে। প্রথম ইনিংসে ৪৩৭ রানের পাহাড় গড়ে তোলে বঙ্গ ব্রিগেড। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ (১১৪) দুরন্ত শতরান হাঁকান। এছাড়া অনুষ্টুপ মজুমদার (৯৫) এবং সায়ন মণ্ডল (অপরাজিত ৯৭) অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। জবাবে চণ্ডীগড়ের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২০৬ রানে।

তবে ফলো অন না দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাট করতে নামে বাংলা। যদিও প্রথম ইনিংসের মতো দাপট দেখাতে পারেননি মনোজ-অনুষ্টুপরা। ৮ উইকেট খুইয়ে ১৮১ রান তোলার পর ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় বাংলা। জয়ের জন্য পাহাড় প্রমাণ রানের চাপ মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২৬০ রানে থামে তাদের লড়াই। বাংলার হয়ে ঈশান পোড়েল সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া মুকেশ কুমার এবং নীলকান্ত দাস দুটি করে উইকেট পান। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন সায়ন মণ্ডল, শাহবাজ আহমেদ এবং অনুষ্টুপ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন অভিমন্যু।

চলতি রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষ হল এদিন। রবিবারই আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে বোর্ড। আইপিএলের পর রঞ্জির নকআউট পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। নকআউট পর্বের সূচি এখনও ঘোষণা করেনি বিসিসিআই।

জয়ের পর অরুণ লাল বলেন, ‍‘এই দলটা দুর্দান্ত। চারিত্রিক দৃঢ়তা, টিম স্পিরিট, স্কিল, ফিটনেস এই সব কিছুর মিশেলে নিজেদের সবসময় মোটিভেট করে গিয়েছে টেবিলের শীর্ষে থাকার জন্য। নকআউটে যাওয়ার জন্য এটা আমাদের কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচ ছিল না। তবুও যেভাবে ছেলেরা লড়াই করেছে, জয়ের জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছে, তা প্রশংসনীয়। এটাই জয়ের অভ্যাস বজায় রাখবে। আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলল।’