Ranjan Bhattacharya: ‘৪ জন, ৭ জন ভূমিপুত্রের লজিকটাই বুঝলাম না’: রঞ্জন ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন মরসুম থেকে ঘরোয়া লিগে খেলাতে হবে প্রথম একাদশে চারজন করে ভূমিপুত্র খেলাতেই হবে।  সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। সাতজন ভূমিপুত্র খেলানোর…

ranjan bhattacharya football coach

নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন মরসুম থেকে ঘরোয়া লিগে খেলাতে হবে প্রথম একাদশে চারজন করে ভূমিপুত্র খেলাতেই হবে।  সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। সাতজন ভূমিপুত্র খেলানোর ব্যাপারে সংস্থা চেষ্টা করেছিল। সব ক্লাব তাতে রাজি হয়নি। রঞ্জন ভট্টাচার্যের (Ranjan Bhattacharya) প্রশ্ন, “এগারোজন কেন নয়?”

“চারজন কিংবা সাতজন ভূমিপুত্রের লজিকটাই বুঝতে পারলাম না। এগারোজন ভূমিপুত্র কেন নয়?” বলেছেন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। “বাংলার ফুটবলের উন্নতি করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কোন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া উচিৎ সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নিজেদের কাছে থাকতে হবে।”

রঞ্জন বুঝিয়ে বলেছেন, “পজিশন ধরে ধরে আমাদের ভাবতে হবে। আধুনিক ফুটবলে ২ থেকে ৩ জন সেন্টার ব্যাক লাগে। কোচ কোন ফর্মেশনে খেলাবেন সেটার ওপর নির্ভর করে ডিফেন্ডারের সংখ্যা। গুরুত্বপূর্ণ পজিশনের ক্ষেত্রে যে কোনো দল সেরা ফুটবলার মাঠে নামাতে চাইবে। আমাদের দেখতে হবে বাংলার ফুটবলে ঘাটতি কোন কোন পজিশনে। স্ট্রাইকার, মাঝমাঠ, ডিফেন্স, গোলকিপার সব পজিশনের জন্য ফুটবলার নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। তাহলে সন্তোষ ট্রফির মতো প্রতিযোগিতায় আমরা আবার ভালো করতে পারবো।

তিনি আরও বলেছেন, “চারজন ভূমিপুত্র খেলানোর নিয়মে আমি খুশি। কিছু অন্তত হোক আগে। তবে বৈঠকে আরও একটা বিষয় যুক্ত করে দিলে ভালো করতো, পরের বছর থেকে ভূমিপুত্রের সংখ্যা আরো বাড়ানো। তাহলে আমাদের রাজ্যের ছেলেরা আরও বেশি সুযোগ পাবে। নাহলে আমাদের রাজ্যে এসে অন্য রাজ্যের ফুটবলাররা গুরুত্ব পাবে বেশি।”

“আপনি মহারাষ্ট্র, কেরালা, গোয়ার মতো রাজ্যে দেখুন। ওখানে লোকাল ছেলেদের বেশি করে খেলানো নয়। ইদানিং সন্তোষ ট্রফিতে তাদের পারফরম্যান্স আমাদের থেকে ভালো।”

রঞ্জন ভট্টাচার্যের মতে, স্ট্রাইকার, মাঝমাঠ ও ডিফেন্স, এই তিন বিভাগে যোগ্য খেলোয়াড় বাংলা থেকে তুলে আনা জরুরি। প্রথম প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু পজিশন অনুযায়ী ধরে ধরে ভূমিপুত্র খেলানো হলে লাভ হতে পারে বাংলার।

তাঁর কথায়, “প্রথম ধাপে একজন ফরোয়ার্ড, দুজন মিডফিল্ডার, দুজন ভূমিপুত্র ডিফেন্ডার খেলানো বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। তার পরের বছর সংখ্যাটা আরও একটু বাড়ানো হোক। এইভাবে ঘরোয়া লিগে আমাদের রাজ্যের ফুটবলারদের সংখ্যা যাতে অন্য রাজ্যের ফুটবলারদের থেকে বেশি হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আমাদের আসল লক্ষ্য বাংলার ফুটবলের উন্নতি।”