বিরাট মঞ্চে রজতের ঝলকানি, পাতিদারের রান-বৃষ্টিতে তৃপ্ত ইডেন

শুভদীপ ব্যানার্জি Advertisements ইনিংস শেষে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ ছাড়ছেন ভারতীয় তরুণ। ইডেনের গ্যালারি তখন দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছে তাঁকে। না, তিনি বিরাট নন, ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন…

শুভদীপ ব্যানার্জি

Advertisements

ইনিংস শেষে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ ছাড়ছেন ভারতীয় তরুণ। ইডেনের গ্যালারি তখন দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছে তাঁকে। না, তিনি বিরাট নন, ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন নায়ক রজত পাতিদার।

   

বুধবারের ইডেন দেখে মনে হবে যেন এক টুকরো বেঙ্গালুরু। লখনউ সুপার জায়ান্টসের জার্সি গায়ে কিছু সমর্থক গলা ফাটানোর চেষ্টা করলেও, আরসিবি-আরসিবি শব্দব্রহ্মে তা একেবারেই ম্লান হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে বিরাট কোহলির কাছে অনুভূতিটা তো ছিল একেবারেই ভিন্ন। বিরাট হয়তো বুঝে উঠতে পারছিলেন না, তিনি এখানকার লোকাল বয় কিনা।

দীর্ঘদিন অফফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অবশ্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন। পুরনো বিরাটের ঝলক দেখা গিয়েছিল তাঁর আগ্রাসনে। অনেকেই ভেবেছিলেন, ক্রিকেটের নন্দনকানন হয়তো বিরাটকে স্বাগত জানাবে শতরানের মাধ্যমে। ইডেন সচরাচর নিজের বরপুত্রদের খালি হাতে ফেরান না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলি শেষ সেঞ্চুরি এই ইডেনেই। শুধু তাই নয়, শেষবার যখন আরসিবি কলকাতায় খেলতে এসেছিল, তখনও ইডেন সাক্ষী ছিল বিরাট শতরানের। তাই এদিনের মঞ্চটা যেন বিরাটের জন্য সাজানো ছিল।

কিন্তু তিনি পারলেন না সমর্খকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে। তাঁর মঞ্চে অবশ্য নয়া বরপুত্র খুঁজে নিল ইডেন। রজত পাতিদার। রজতের ব্যাটের ঝলকানিতে যেন ফিকে হয়ে গেল নন্দন কাননের হাজার ওয়াটের আলোও। শুরুতেই ছিটেফোটা বৃষ্টি নেমেছিল বুধ সন্ধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা থেমে যায়। কিন্তু ইন্দোরের ২৮ বছরের ডানহাতি ব্যাটার পাতিদারের ব্যাটে ছয়-চারের বৃষ্টি যেন থামতেই চাইছিল না এদিন। রবি বিষ্ণোইয়ের এক ওভারে নিলেন ২৬ রান। ফাফ-বিরাট-ম্যাক্সওয়েলের মতো তারকাদের ব্যর্থতা একাই ঢেকে দিলেন তিনি। পঞ্জাশ হাজারি ইডেন সার্থক হল রজতের উইলোতে। মহসীন খানের বল পুল করে ফেললেন একেবারেই স্টেডিয়ামে। এরকম অনেক ছক্কাই হাঁকিয়েছেন। কিন্তু আইপিএল কেরিয়ারে প্রথম শতরানটি এই ছক্কা দিয়েই মাতালেন তিনি। ৪৯ বলে স্পর্শ করলেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ১১টি চার এবং ৭টি বিশাল ছক্কায় পুষ্ট রজতের ইনিংস। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে প্লে-অফে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেললেন রজত।