এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে চোট পান ভারতীয় তারকা আনোয়ার আলী (Anwar Ali )। ফুটবলে শট মারতে গিয়ে হঠাৎ বাঁ পায়ে। তারপর মাটিতেই পড়ে যান এই তারকা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে পরবর্তীতে খোড়াতে খোড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ম্যাচের শেষে সতীর্থ ফুটবলারদের পাশাপাশি মেডিক্যাল টিমের সহযোগিতায় গাড়িতে ওঠেন দলের এই দাপুটে ডিফেন্ডার। যা দেখে রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়ে যায় সকলের।
এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার তার পায়ের স্ক্যান করার পর রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল সকলে। তা আসতেই চরম উদ্বেগ দেখা দেয় সকলের মধ্যে। আসলে রিপোর্ট নাকি খুব একটা ভালো আসেনি এই ফুটবলারের। তাই চিন্তা যেন আরও কয়েক গুন বেড়ে গিয়েছে সকলের। জানা গিয়েছে, রিপোর্ট অনুসারে এখন আর হয়ত মাঠে ফেরা হচ্ছে না এই ভারতীয় ডিফেন্ডারের। বলতে গেলে জানুয়ারির আগে মাঠে ফিরে আসা অসম্ভব এই তারকার।
সেজন্য, আগত এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের বাকি তিনটি ম্যাচের সাথে চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম লেগ অর্থাৎ বাকি সাতটি ম্যাচে ও মাঠে থাকতে পারবেন না এই ফুটবলার। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় প্রভাব ফেলবে সবুজ-মেরুনের অন্দরে। আনোয়ারের মাঠে না থাকা মোহনবাগান ব্রিগেডের পাশাপাশি জাতীয় শিবিরেও যে প্রভাব ফেলবে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই দুই ক্ষেত্রেই যে দলের রক্ষনভাগে দুর্বলতার সৃষ্টি করবে তা বলাই চলে। পাশাপাশি দলের অধিনায়ক শুভাশিস বোস সহ সাহাল আব্দুল সামাদ ও মনবীর সিংয়ের হাল্কা চোট অনেকটাই চিন্তায় রাখছে বাগান কোচকে।
এই পরিস্থিতিতে আনোয়ার আলীর বিকল্প ফুটবলার পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছিল সমস্যা। আদতে ব্রান্ডন হ্যামিল ও শুভাশিস বোসের সাথে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার রাখা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিলেও এবার হয়ত মিলেছে সমাধান। এক্ষেত্রে হয়ত নামানো হতে রাখে রাজ বাঁশফোরকে। উল্লেখ্য, গত রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগ থেকেই মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলে আসছেন রাজ। খেলেছেন এবারের কলকাতা লিগে।
পারফরম্যান্স ও ছিল দেখবার মতো। তাই সবদিক মাথায় রেখেই বাস্তব রায়ের সাথে কথা বলে জুনিয়র দলের এই ফুটবলারকে সিনিয়র দলের অনুশীলনে ডেকে পাঠান হুয়ান ফেরেন্দো। সেখানেও নাকি কোচের যথেষ্ট নজর কাড়ছেন এই তারকা। সব ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন জামশেদপুর ম্যাচে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন রাজ।