Qatar WC: ফৌজি বিমানের পাহারায় পোল্যান্ডকে নিয়ে কটাক্ষ, ওরে মিসাইল প্রেমিক কিমও হাসছে!

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: নাটুকে (Poland) পোল্যান্ড! এমনই কটাক্ষ শুরু হয়ে গেছে কাতারে। বিশ্বকাপে (Qatar Wc) পোল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের (Saudi Arabia) হয়ে গলা ফাটাতে…

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: নাটুকে (Poland) পোল্যান্ড! এমনই কটাক্ষ শুরু হয়ে গেছে কাতারে। বিশ্বকাপে (Qatar Wc) পোল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের (Saudi Arabia) হয়ে গলা ফাটাতে ফাটাতে কাতারি-কোরিয়ান-জাপানিরা সবাই একযোগে বলছেন কিম জং উনের (Kim Jong Un) মিসাইল পাল্লায় থাকলেও তো পোলিশরা খেলতেই আসত না! এমন কটাক্ষের তীব্রতায় পোলিশ সমর্থকরা নীরব। তারা মাঠে জবাব দিতে অপেক্ষায়।

উত্তর কোরিয়ার (North Korea) একনায়ক-মিসাইল প্রেমিক শাসক কিম জং উনের রক্ত চক্ষুর সামনে দিয়ে (Japan) জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) জাতীয় দল বিনা পাহারায় এসেছে কাতারে। আর রুশ হামলার ভয়ে পোল্যান্ড এসেছে যুদ্ধ বিমানের পাহারায়। পোলিশদের এমনধারা আগমনকে নাটক বলছেন কাতারবাসী।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

শনিবার বিশ্বকাপে (Poland) পোল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব (Saudi Arabia)। এই আরবরা প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা নামে ফুটবল বাঘ শিকার করে এখন তুরীয় আনন্দে মাতোয়ারা। তবে ধারে ভারে পোল্যান্ড এগিয়ে। আর আজ জিতলেই আরবরা নক আউটের খেলায় সরাসরি ঢুকে পড়বে।

আজ এশিয়া-ইউরোপের ফুটবল লড়াই। এবার বিশ্বকাপে এশিয়ার চমক চলছে। সৌদি আরবের হাতে আর্জেন্টিনা কুপোকাত। জাপানের হাতে মরেছে জার্মানি। ইরান দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার পথ পরিস্কার করে নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে আটকে গেছে উরুগুয়ে।

এই জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ নিজ নিজ দেশে চব্বিশ ঘণ্টা উত্তর কোরিয়ার মিসাইল হামলার ভয় নিয়ে বাঁচেন। উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং উন বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে মিসাইল বৃষ্টি শুরু করেছিলেন তাতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় জারি হয় সতর্কতা। দুটি দেশের জলসীমার মধ্যে বারবার আছড়ে পড়েছে কিমের মিসাইল। ভয়ে মাটির তলায় ঢুকেছিলেন কোরীয় ও জাপানিরা।

ঠিক আট দিন আগে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বিভাগ ছবি দিয়েছিল তাদের বিমান বাহিনীর পাহারায় জাতীয় ফুটবল দল চলেছে কাতারের দিকে। নীল আকাশে পোলিশ যুদ্ধ বিমান ও দেশটির জাতীয় ফুটবলারদের বিমান পাশাপাশি উড়ে নির্দিষ্ট সময়ে অবতরণ করেছিল দোহার বিমান বন্দরে।

ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে বহু রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ছায়া পড়েছে। এবারেও পড়ছে। সামরিক শাসনের হস্তক্ষেপও হয়েছে। যার নির্লজ্জ সাক্ষী ১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনার বিশ্ব সেরা হওয়ার ঘটনা। কিন্তু এমন যুদ্ধ বিমানের পাহারায় পোল্যান্ডের মতো কোনও দেশ আগে আসেনি বিশ্বকাপের আসরে।

পোল্যান্ড দলের সাথে যুদ্ধ বিমানের পাহারার পিছনে ছিল রুশ-ইউক্রেন চলমান সংঘর্ষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো গোষ্ঠির সদস্য দেশ পোল্যান্ড। তাদের উপরেও রুশ সেনার হামলার আশঙ্কা আছে বলে পোল্যান্ড বারবার বার্তা দিয়ে চলেছে। সম্প্রতি তাদের সীমান্তের ভিতর মিসাইল বিস্ফোরণ হয়। এর পর থেকে পোল্যান্ড জুড়ে চনছে আতঙ্ক। ইউক্রেনের মতো রুশ সেনাকে কি শত্রু পোল্যান্ডের উপর হামলা করতে বলবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন? চলছে এই আলোচনা। তবে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের উপর হামলা হলেই নিয়মানুযায়ী মার্কিন সেনা যুদ্ধে নামবে। সেক্ষেত্রে পোল্যান্ড খানিকটা স্বস্তিতে।