Qatar WC: মধ্যরাতে কাতারের মাঠে উড়বে ফরাসি এসেন্স, যে নজির আর ভাঙবে না

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বিশ্বকাপে ফরাসি এথেন্সের শিশি খুলেছিল ১৯৩০ সালে। প্রথম বিশ্বকাপের আসরে। প্রথম গোলদাতা এক ফরাসি। ঠিক একইভাবে চলতি  বিশ্বকাপের (Qatar WC) আসরে প্রথম তিন…

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বিশ্বকাপে ফরাসি এথেন্সের শিশি খুলেছিল ১৯৩০ সালে। প্রথম বিশ্বকাপের আসরে। প্রথম গোলদাতা এক ফরাসি। ঠিক একইভাবে চলতি  বিশ্বকাপের (Qatar WC) আসরে প্রথম তিন নারী যারা পরিচালনা করবেন একটি ম্যাচ তাদের মধ্যেও ফরাসি এসেন্স ভুরভুর করছে। নজিরবিহীন এক নজির। এই নজির আর কোনওদিন ভাঙবে না।

উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা ফরাসি লুসিয়েন লরেন্ত (Lucien Laurent)। আর সম্পূর্ণ নারী রেফারি পরিচালিত  ম্যাচের রেফারিও এক ফরাসি স্টেফানি ফ্রাপার্ট (Stefanie Frapart) বাঁশি বাজাবেন কাতার বিশ্বকাপে।

১৯৩০ সালের উরুগুয়ে থেকে ২০২২ সালের কাতারে বিশ্বকাপ আসরের মাঝে ৯২টি বছর কেটে গেছে। পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে এবার একসাথে তিন ম্যাগনোলিয়া ঝলক। এদের হাতেই সম্পূর্ণ হচ্ছে বিশ্বকাপের ফুটবল-আকাশ। সম্পূর্ণ হচ্ছে বৃত্ত।

মধ্যরাতে ফুটবে তিন ম্যাগনোলিয়া ফুল। ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্রাপার্ট, ব্রাজিলের ক্যারেন দিয়াজ এবং মেক্সিকোর নেওজা ব্যাক। মাঠে কোস্টারিকা ও জার্মানির বাইশজন ফুটবলারের বল দখলের লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রক এই তিন নারী রেফারি। ফ্রান্সের পাশাপাশি নজির গড়া ম্যাচটির দুই সহকারী নারী রেফারি সমান অংশীদার এই ইতিহাসের।

ইসলামি ভাবধারায় রক্ষণশীল কাতার সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। সেই রক্ষণশীলতার জাল কেটে কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপের খেলায়  তিন নারী করবেন ম্যাচ পরিচালনা। এ যেন ফিফার নীরব অথচ ইঙ্গিতবহুল এক সিদ্ধান্ত।

স্টেফানি ফ্রাপার্টের বাঁশির শব্দে ফুটবলের দুনিয়ায় যুগান্তকারী ঘটনাটি ঘটবে। তিনি বলেছেন, আমি জানি কীভাবে এই দায়িত্ব সামলাতে হবে। ২০১৯ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালে ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন ফ্রাপার্ট। তিনি বিশ্বের সেরা নারী রেফারি।