Mohunbagan: মোহনবাগানের অমর একাদশের খেলোয়াড়দের ছবি ভাইরাল

Sports desk: ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ১৯১১ সালের জুলাই মাসে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে মোহনবাগান (Mohunbagan) প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে আইএফএ শিল্ড জিতেছিল।…

Sports desk: ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ১৯১১ সালের জুলাই মাসে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে মোহনবাগান (Mohunbagan) প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে আইএফএ শিল্ড জিতেছিল। এটি একটি রূপকথার গল্পের থেকে কম নয়। তখন কোনো আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ছিল না,তা সত্ত্বেও মোহনবাগান বিপুল জনতার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পেয়েছিল দল। এমনকি তৎকালীন সময়ের ব্রিটিশ গণমাধ্যমেও প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে মোহনবাগানের আইএফএ শিল্ড জয় নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হয়েছিল।

 

এরপর কালের অমোঘ নিয়মে গঙ্গা নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত মুক্ত হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের চূড়ান্ত এবং চরম ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে।

ভারতীয় ফুটবল ধীরে ধীরে নাবালক থেকে এখন সাবালক হওয়ার পথে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) ছাতার তলায় রাজ্য ফুটবল সংস্থার সং যুক্তিকরণ ঘটেছে। জাতীয় লীগ থেকে আই লিগের হাত ধরে এখন
AIFF এবং ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL) যৌথভাবে ইন্ডিয়ান সুপার লীগ (ISL) টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে।এই ISL টাইটেলশিপ এখন ৮ বছরের নাবালক টুর্নামেন্ট।

ISL টুর্নামেন্টে বিদেশি কোচ,সার্পোট স্টাফ, বিদেশি খেলোয়াড়দের দেখা গেলেও এই টুর্নামেন্টের মেরুদণ্ড ভারতীয় ফুটবলারেরা। ISL বিদেশি ফুটবলারদের ভিড়ে ভারতীয় ফুটবলারদের হারিয়ে যায় নি,বরংঞ্চ নিজেদের আরও বেশি করে ঘষে মেজে পালিশ করে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুই পা দিয়ে চেটে পুঁটে নিচ্ছে।

কিন্তু তা বলে তো আর দেশের ফুটবলের গৌরবান্বিত মুহুর্তকে ভুলিয়ে দেওয়া যায় না এবং ভুলিয়ে রাখাও যায় না। সমাজে কিছু মানুষ থাকেন যারা অতীতের সোনালি মুহুর্তকে এক ফ্রেমে ফ্রেমবন্দি করে রাখতে চায়।

সাম্প্রতিক সময়ে এইরকমই প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে মোহনবাগান ক্লাবের আইএফএ শিল্ড জয়ের কারিগর যারা মাঠে নেমে খালি পায়ে গোড়াদের বিরুদ্ধে লড়ে ঐতিহাসিক শিল্ড জয় করেছিল ওই সমস্ত দামাল খেলোয়াড়দের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।

আদ্যপ্রান্ত এক সবুজ মেরুন সমর্থক মোহনবাগান ক্লাবের ১৯১১ সালের ঐতিহাসিক শিল্ড জয়ের খেলোয়াড়দের ফ্রেমবন্দি করে ক্যাপসনে লিখেছেন,”এটি ১৯১১ সালে তোলা একটি ফটো পুনরুদ্ধার করার একটি প্রয়াস৷ এই ছবিটি অমর একাদশের যেটি ইস্ট ইয়র্কশায়ার দলকে পরাজিত করে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে লোভনীয় আইএফএ শিল্ড তুলেছিল৷ আমি প্লেয়ারদের মুখ ফিরিয়ে আনতে একটি মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এই আসল ফটোটি চালিয়েছি।

আমি গ্রহণযোগ্য ডিগ্রীতে কয়েকজন খেলোয়াড়ের পুনরুদ্ধার করা মুখগুলিও বের করতে সক্ষম হয়েছি।”

এমন এক দুর্লভ অথচ ভারতীয় ফুটবলের ঐতিহাসিক জয়ের খেলোয়াড়দের লার্নিং অ্যালগরিদম ভাইরাল হতেই তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সবুজ মেরুন জনতা। সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট করা হয়েছে,
“আশ্চর্যজনক 🇮🇳🔴🙏
প্রতিটি নাবিকের প্রচেষ্টাকে লালন করা উচিত। #1911IFAShieldWin – যেকোনো ভারতীয় ফুটবল ক্লাবের সবচেয়ে বড় সাফল্য

#অমরএকাদশ🙏
#জয়মোহনবাগান
#MBAC1889″

ATK সঙ্গে মোহনবাগান ক্লাবের মার্জার ঘিরে বিতর্ক গোড়া থেকেই, যার আজও কোনও সুরাহা হয়নি।#Break The Merger দাবিতে সোচ্চার মোহনবাগান সমর্থকরা।

এতটাই জোরাল তাদের দাবি যে ইতিহাসের পাতা উল্টে# Break The Merger দাবিকে আদায়ের লক্ষ্যে টুইটারে পোস্ট হয়েছে, “আমরাও পারব #Mariners

১৯৮৭ সাল, ১০৮ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব Fulham (তখন ৩য় ডিভ.) এর সাথে সদ্য গড়ে ওঠা QPR (১ম ডিভ.) ক্লাবের মার্জের ঘোষণা।
ভিডিওটি সেই Fulham সমর্থকদেরই প্রতিবাদ যারা সেদিন শুধু ঐ ম্যাচটি নয় মার্জারও থামিয়ে দিয়েছিল।

#BreakTheMerger
#JoyMohunBagan “

ইতিহাস আর আধুনিকতার সংঘর্ষে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি কে হাসবে তা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে চিরকাল।