হতাশায় ভুগছেন টালিগঞ্জ অগ্রগামীর (Tollygunge Agragami FC) ফুটবলাররা, কোচ এবং কর্তারা। কারণ আইএফএ-র অদ্ভূত নিয়মে এই মরশুমে প্রিমিয়ার ডিভিশন এ-গ্রুপে অবনমনের ব্যবস্থা নেই। সচিব শুভঙ্কর ঘোষদস্তিদার বললেন, “অবনমন না থাকায় ফুটবলারদের মধ্যে কোনও মোটিভেশন নেই। খেলতে চাইছে না। প্র্যাক্টিসে আসতে চাইছে না। প্রথম পাঁচের মধ্যে তো দল রয়েছে। আরও গোটা পাঁচেক ম্যাচ বাকি আছে। কিন্তু রেলিগেশন নেই, ন্যুনতম প্রাইজ-মানি নেই! ফুটবলাররা মাঠে শুধু দাঁড়িয়ে থাকলেও অবাক হওয়ার নেই।”
৭৯ বছরের ক্লাব। দু’দুবার ঐতিহ্যের আইএফেশিল্ডের রানার্স-আপ। দ্বিতীয় ডিভিশন জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এলিট জাতীয় লিগে প্রথম পাঁচেও একবার শেষ করেছিল টালিগঞ্জ অগ্রগামী। ক্লাবের আধুনিক যুগ্র রূপকার মন্টু ঘোষ প্রয়াত হয়েছেন ২০১৮-য়। তারপর ক্লাবের হাল ধরেছেন শুভঙ্কর ঘোষ দস্তিদার। ত্র হতাশা, “সল্ট লেকের আইবি মাঠ ভাড়া নেওয়া মরশুমের জন্য, ক্রিস্টোফার, ক্রোমার মত দুই প্রধানে খেলা বিদেশি নেওয়া, মোট ৩২জন ফুটবলার-সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।
আইএফএ তো জল কেনারও টকা দেয় না। স্পনসরও আসবে না এই সব ক্লাবে টাকা দেওয়ার জন্য। ব্যক্তিগত যোগাযোগে কিছু টাকা জোগাড় করি, আর বাকিটা নিজেদের পকেট থেকে যায়। শুধু ভালবাসা আর ক্লাবের ঐতিহ্য বাঁচাতে লড়াই করে যাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে পারছি এভাবে চললে ক্লাবের ফুটবল দল আর বেশিদিন চালানো যাবে না। বড়জোর বছর পাঁচেক। সিএবি তাও বছরে লাখ পাঁচেক টাকা অনুদান দেয়। তাই ক্রিকেট দল চলছে এবং ভালভাবেই চালাতে পারছি।”