দক্ষিণ কোরিয়াকে গোল বন্যায় ভাসাল ব্রাজিল, পেলের থেকে আর চার ধাপ দূরে নেইমার

আগের রাতেই ইউরো কাপ জয়ী ইটালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা জিতেছে আর্জেন্টিনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলই (Brazil) বা চুপ থাকে কী করে! গোল না পেলেও দুর্দান্ত খেলেছেন অধিনায়ক লিওনেল…

Brazil defeated South Korea

আগের রাতেই ইউরো কাপ জয়ী ইটালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা জিতেছে আর্জেন্টিনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলই (Brazil) বা চুপ থাকে কী করে! গোল না পেলেও দুর্দান্ত খেলেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। পিএসজিতে তাঁর সতীর্থ নেইমারই (Neymar) বা শান্ত থাকবেন কী ভাবে!

লাতিন আমেরিকার আর এক পাওয়ার হাউস ব্রাজিল হয়তো অপেক্ষায় ছিল নিজেদের খেলা দেখানোর জন্য। সিওলে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে রীতিমতো গোলবন্যায় ভাসাল সেলেকাওরা। আয়োজকদের ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। জোড়া গোল করেছেন নেইমার। অবশ্য পিএসজি তারকার দুটি গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। অপর তিনটি গোল করেছেন রিচার্লিসন, নেইমারের পরিবর্তে মাঠে নামা কুটিনহো এবং রাফিনহার পরিবর্তে নামা গ্যাব্রিয়েল হেসুসের পা থেকে।

ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন হলুদ ঝড় ওঠে সিওলে। সপ্তম মিনিটে ফ্রেডের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল জড়ান রিচার্লিসন। তবে ব্রাজিল এই গোলটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ৩১ মিনিটে গোল শোধ করে দেয় তারা। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ডান পায়ের শটে ব্রাজিল গোলরক্ষক ওয়েভার্টনকে পরাস্ত করেন হাং উই জু। ৪২ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় তিতের দল। এবার গোলদাতা নেইমার। বক্সের মধ্যে আলেক্স সান্দ্রোকে ফাউল করেন লি ইয়ং। রেফারি খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) দেখেন রেফারি। ভিএআর দেখেই পেনাল্টির নির্দেশ দেন তিনি। স্পট কিক জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি নেইমার।

৫৪ মিনিটে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ব্রাজিলের আক্রমণে বক্সের মধ্যে বল পেলেও লুকাস পাকুয়েতাকে হার্ড ট্যাকল করেন কিম ইয়ং গাউন। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। এবারও (৫৭ মিনিটে) স্পট কিক নিতে আসেন নেইমার। বল খুঁজে নেয় নিজের ঠিকানা। ৭৮ মিনিটে নেইমারকে তুলে নিয়ে কুটিনহোকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ তিতে। মাঠে নামার ২ মিনিট পরই গোল করেন অ্যাস্টন ভিলায় খেলা কুটিনহো। কোরিয়ান এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে চাইলে বক্সের বাঁ পাশে বল পেয়েই দুর্দান্ত এক শট নেন। ডান প্রান্ত দিয়ে বল জড়িয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে অর্থাৎ ইনজুরি টাইমে ব্রুনো গুইমারেসের ক্রস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে দক্ষিণ কোরিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ম্যান সিটি তারকা হেসুস।

এদিন জোড়া গোলের ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে নেইমারের গোল সংখ্যা দাঁড়াল ৭৩। ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোল রয়েছে কিংবদন্তি পেলের। অর্থাৎ আর পাঁচটি গোল করলেই ফুটবল সম্রাটকে টপকে যাবেন নেইমার। আর সেটা যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা বলা যেতেই পারে।