World Cup: মানেহীন সেনেগালকে জোড়া গোল দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ডাচরা

কাতার বিশ্বকাপে (World Cup) অঘটন ঘটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন সেনেগাল কোচ অ্যালিউ সিজে। স্বপ্ন দেখেছিলেন নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ আভিযানের। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে তফাৎটা যে…

Dutch World Cup Senegal

কাতার বিশ্বকাপে (World Cup) অঘটন ঘটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন সেনেগাল কোচ অ্যালিউ সিজে। স্বপ্ন দেখেছিলেন নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ আভিযানের। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে তফাৎটা যে অনেকাই, সেটা উপলব্ধি করতে পারেননি।

যদিও বিশ্বকাপে অঘটন ঘটানোর অভ্যাস আছে সেনেগালের। ২০০২ বিশ্বকাপের আবির্ভাবেই ফ্রান্সকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল। ২০১৮ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডকে হারিয়েছিল সেনেগাল। কিন্তু ডাচদের বিরুদ্ধে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল না। নেদারল্যান্ডের কাছে ২-০ ব্যবধানে হারতে হল আফ্রিকান নেশনস কাপের চ্যাম্পিয়ন দলকে। নেদারল্যান্ডের মতো দলকে হারাতে গেলে দরকার ছিল সাদিও মানের মতো ফুটবলারকে। যিনি ভার্জিল ফান ডাইকের মতো ডিফেন্ডারকে চাপে রাখতে পারতেন। সাদিও মানে না থাকায় চাপমুক্ত নেদারল্যান্ড ডিফেন্স।

সাদিও মানে না থাকলে সেনেগাল কিন্তু পিছিয়ে ছিল না ৷ বরং গোটা ম্যাচে দারুণ লড়াই করেন ইসমালিয়া সার, ক্রেপিন দিয়াত্তা, ইদ্রিসা গুয়েয়ারা। প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডের দাপট সামান্য বেশি থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত লড়াই করে সেনেগাল। ইসমালিয়া সার গোল করার মতো গোটা চারেক সুযোগ পেয়েছিল। নেদারল্যান্ডের তিন কাঠির নিচে আন্দিয়েস নোপার্ট অপ্রতিরোধ্য না হয়ে উঠলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফেরা হত না নেদারল্যান্ডের। বলতে গেলে ডাচদের তুলনায় সেনেগালই বেশি সুযোগ তৈরি করেছিল।

সাদিও মানে থাকলে নিশ্চিতভাবেই পল অন্যরকম হত।সারাক্ষণ লড়াই করলেও সেনেগাল ম্যাচের ৮৪ মিনিটে আর আটকে রাখতে পারেনি ডাচদের। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে সেনেগালের বক্সে ভাসিয়েছিলেন ফ্রাঙ্ক ডি জং। দুরন্ত হেডে বল জালে পাঠান কোডি গাপকো। বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই গোল করেন। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে নেদারল্যান্ডের ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন ডাভি ক্লাসেন। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা মেমফিস ডিপের শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান সেনেগাল গোলকিপার মেন্ডি। ফিরতি বল জালে পাঠান ক্লাসেন।

বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ড মানেই কমলা ঝড়। ডাচদের আক্রমণাত্মক খেলা দেখতে অভ্যস্ত ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু সেই সুদিন আর নেই ডাচদের। যদিও নিজেদের গ্রুপে সেরা হয়েই বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে নেদারল্যান্ড। সমর্থকদের প্রত্যাশাও অনেকটাই বেশি ছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ লুই ভ্যান গালের দল। বিপক্ষের যেমন সাদিও মানে ছিল না। তেমনই নেদারল্যান্ডের মেমফিস ডিপের না থাকাটাও ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল। ডাচ দলের বৈশিষ্ট্য হল অন্য দলের মতো কোনও তারকা নেই। বলার মতো ফুটবলার ফ্র্যাঙ্ক ডি জং, ডালে ব্লাইন্ড, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, মেমফিস ডিপেরা। চোটের জন্য মেমফিস ডিফে চোটের জন্য না থাকায় ভিনসেন্ট জানসেনকে সামনে রেখে দল সাজিয়েছিলেন লুই ভ্যান গল।