Transfer Window: নতুন বছরের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মোহনবাগান (Mohun Bagan ) সুপারজায়ান্টস। আইএসএলের টানা তিন ম্যাচের হতাশা ভুলে এবার দূরন্ত ছন্দে সুপার কাপ শুরু করে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোঁটাতে চান দিমিত্রি-বুমোসরা। মরশুমের শুরুতে দল বদলের বাজারে একের পর এক হেভিওয়েট দলকে টেক্কা দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল সবুজ-মেরুন। বেশকিছু ফুটবলার বদল করে অজি বিশ্বকাপার জেসান কামিন্সকে দলে টেনেছিল এই প্রধান।
তবে সেখানেই শেষ নয়। পরবর্তীতে ইউরোপা লিগ খেলা আলবেনিয়ান তারকা আর্মান্দো সাদিকুকে ও সাইন করিয়েছিল এই ফুটবল দল। তাদের সামনে রেখে আক্রমণভাগে ঝড় তোলাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল তাদের। পরবর্তীতে দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে সাহাল আব্দুল সামাদ থেকে শুরু করে অনিরুদ্ধ থাপার মতো ফুটবলারদের সংযোজন যেন বাড়তি শক্তি বাড়িয়েছিল দলের অন্দরে।
তবে শুধু এই দুই বিভাগ নয়। দলের রক্ষনভাগের কথা মাথায় রেখে পরবর্তীতে এফসি গোয়া থেকে দাপুটে সেন্টারব্যাক আনোয়ার আলীকে সাইন করায় মোহনবাগান। যার দরুন টুর্নামেন্টের প্রথমদিকে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল মেরিনার্সদের। কিন্তু সেই ম্যাজিক বেশিদিন টেকেনি। এএফসি কাপ খেলতে গিয়েই পায়ে গুরুতর চোট পান আনোয়ার আলী। যার দরুন ছিটকে যেতে হয় দল থেকে। তার অনুপস্থিতিতে একেবারে ছন্নছাড়া হয়ে ওঠে দলের রক্ষনভাগ। তবুও মনে করা হয়েছিল, সুপার কাপের মধ্যেই হয়তো দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন আনোয়ার আলী। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ফিট হয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। আসলে, আনোয়ার আলীর অনুপস্থিতি দলের ক্ষেত্রে যে এতটা প্রভাব ফেলবে তা হয়ত ভাবতে পারেননি কেউ।
তাই এবার উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সমস্ত ভুল ত্রুটি শুধরে নিয়ে মাঠে নামতে চাইছে মোহনবাগান। এক্ষেত্রে তাদের নজর গিয়ে পড়েছে ইভান ভুকমানোভিচের কেরালা ব্লাস্টার্সের দিকে। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এবার নাকি সেই দল থেকে দাপুটে ডিফেন্ডার হিসেবে হরমিপাম রুইভাকে সাইন করাতে চায় মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট।
পূর্বে ও মরশুম শুরুর আগে দলের প্রাক্তন অধিনায়ক প্রীতম কোটালের পরিবর্তে হরমিপামকে টানতে চেয়েছিল মোহনবাগান। তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এবার ও তাকে আনতে চাইছে দল। তবে কেরালার সঙ্গে এখনো অনেকটা সময়ের চুক্তি বাকি এই ভারতীয় ডিফেন্ডারের। এই পরিস্থিতিতে তাকে দলে টানতে গেলে প্রচন্ড কাটখড় পোড়াতে হবে মেরিনার্সদের।