গতবারের মতো এবারও ডুরান্ড কাপের দুরন্ত ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। একাধিক ফুটবল দলকে পরাজিত করে অনায়াসেই গ্ৰুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ময়দানের এই প্রধান। তারপর শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে জামশেদপুরে খেলতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখানে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফিরেছিল জোসে মোলিনার ছেলেরা। তারপর টাইব্রেকারে আসে জয়।
এবার সেমিফাইনালে ও বজায় থাকল সেই ধারা। মঙ্গলবার ডুরান্ডের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হয়েছিল মেরিনার্সরা। একটা সময় সেই ম্যাচে পিছিয়ে থাকতে হলেও পরবর্তীতে দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং অনিরুদ্ধ থাপার গোলে সমতায় ফেরে বাগান ব্রিগেড। আবার সেই টাইব্রেকার। সেখানেই বিশাল কাইথের কাঁধে ভর দিয়ে ফাইনাল ম্যাচের ছাড়পত্র পেয়ে যায় মোহনবাগান।
দলের এই জয়ের ফলে সমর্থকদের পাশাপাশি যথেষ্ট খুশি সবুজ-মেরুন সচিব দেবাশিস দত্ত। গোলরক্ষক বিশাল কাইথের পাশাপাশি এদিন দলের সকল ফুটবলারদের নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাগান সচিব বলেন, ‘বিশাল ম্যাচের নায়ক তো অবশ্যই। তবে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও দুই গোল শোধ করা খুব একটা সহজ নয়। আগে দুটো গোল করতে হয়েছে তবে গিয়ে বিশাল নায়ক হয়েছে। তাই এই জয়ের পুরো ক্রেডিটাই গোটা দলের।’
এছাড়াও ১৯১১ সালের প্রসঙ্গ তুলে দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘সেই সময় ও আমরা এক গোলে পিছিয়ে ছিলাম। পিছিয়ে থেকে দুই গোল করেছিলাম। আজকে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে আবার দুই গোল। তাছাড়াও আজ একাধিক গোল করার সুযোগ পেয়েছিল দলের ফুটবলাররা। তবে সেগুলি হয় মিস হয়েছে নয়তো পোস্টে লেগেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জয় এসেছে। দলের সকল ফুটবলাররা খুব ভালো খেলেছে। আমি আশা করি আগামী ফাইনাল ম্যাচে ও ফুটবলাররা খুব ভালো খেলবে।’