কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে কলকাতা ফুটবল লিগের গ্ৰুপ পর্ব। যেখানে প্রথম থেকেই দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল থেকে শুরু করে ডায়মন্ড হারবার এফসির মত ক্লাব। যারফলে অনায়াসেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছে টুর্নামেন্টের সুপার সিক্সে। এছাড়াও পরবর্তীতে এই রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করে কলকাতা কাস্টমস থেকে শুরু করে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ সহ মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সময় এগোনোর সাথে সাথেই ক্রমশ জমজমাট হয়ে উঠছে সিএফএলের সুপার সিক্স।
ইমামি ইস্টবেঙ্গল বাকিদের তুলনায় কিছুটা অ্যাডভান্টেজে থাকলেও খুব একটা পিছিয়ে নেই বাকি দলগুলি। বর্তমানে দুই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করলেই ট্রফি চলে আসবে লাল-হলুদ তাঁবুতে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সুপার সিক্সে মোট তিন ম্যাচ খেলে ৭ পয়েন্ট রয়েছে বিনো জর্জের ছেলেদের। অন্যদিকে দুই ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট রয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসির। বলতে গেলে পরবর্তী ম্যাচ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই দুই দলের কাছে। যেখানে একে অপরের মুখোমুখি হবে দুই হেভিওয়েট। এখন সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
এসবের মাঝেই কলকাতা লিগ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশনের দিকে তোপ দাগলেন বাগান (Mohun Bagan) সচিব দেবাশিস দত্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আইএফএ চায় না কোনও ছোট ক্লাব সিএফএল চ্যাম্পিয়ন হোক। ইস্টবেঙ্গল এখন যেভাবেই হোক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করছে। গতবছর ভবানীপুর ট্রফি জয়ের পথে গিয়েছিল। তখন শেষ কয়েকটা ম্যাচ খেলিয়ে মহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভবানীপুরের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভবনা ছিল। এই বছর ডায়মন্ড হারবার যথেষ্ট ভালো খেলছে।”
দেবাশিস দত্ত আরও বলেন, ” আমার মনে হয় অন্য দলগুলোর এবার ভাববার সময় এসে গেছে। যে লিগ খেলা উচিত কী উচিত না। এরা আগে থেকেই ঠিক করে রাখে। আমরা মোহনবাগান হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ ছেলে। আমরা কলকাতা লিগকে ডেভেলপমেন্ট লিগ হিসেবেই দেখি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল যেকোনও ভাবেই চ্যাম্পিয়ন হতে চেষ্টা করে। আইএফএ’র মদত রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার যাই বলুক আইএফএ ইস্টবেঙ্গলকেই চ্যাম্পিয়ন করবে। আপনারা দেখে নেবেন ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হবে। কিছুদিন আগে ওরা বাইরে একটা টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিল। তখন ওদের কলকাতা লিগের খেলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে আইলিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে ডায়মন্ড হারবার যথেষ্ট দক্ষতার সাথে দল গড়েছে। কিবু ভিকুনার মত কোচকে এনেছে। আমার মনে হয় আইএফএ’র ওদের সুবিধা ও দেখা উচিত। আইলিগের পর ওদের ম্যাচ দেওয়া উচিত। সব সময় ইস্টবেঙ্গলের আবদার মানতে হবে আর অন্য ক্লাবের কথা শুনবো না এমন মনোভাব রাখলে দুষ্কর।”