‘কন্যাশ্রী’ ও ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের প্রশংসা করল ইউনিসেফ (Kanyashree and Rupashree)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্ক প্রসূত ‘কন্যাশ্রী’ ও ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করল আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন’স চিলড্রেন্স ফান্ড। ইউনিসেফের ফিল্ড অফিসের প্রধান মনজুর হোসেন ২০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতায় একটি আলোচনা সভায় হাজির ছিলেন। সেই সভাতেই এই কথা তুলে ধরেন তিনি।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা রাখার সময় ‘কন্যাশ্রী’ ও ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প বাংলার নারীসমাজকে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছে তা প্রশংসনীয়। ইউনিসেফ প্রধানের মতে রাজ্যের সার্বিক এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ‘কন্যাশ্রী’ বা ‘রূপশ্রী’-এর মত প্রকল্পগুলি অন্যতম গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরও বলেছেন যে, বাংলার নারীদের সার্বিক উন্নয়নে ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এই দুই প্রকল্প বিপুল ভূমিকা পালন করেছে। তার এই প্রশংসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় নতুন পালক সংযোজন করেছে।
বাংলায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যখন গোটা বাংলা মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তখন মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্ক প্রসূত এই প্রকল্পের গুণগান চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপূঞ্জের তরফে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এই সম্পর্কে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন, “এর চাইতে বড় বিষয় আর কি হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে গোটা বিশ্বকে নারী নিরাপত্তা এবং নারীদের সম্মান করার বিষয় সম্পর্কে পথ প্রদর্শন করেছে, তা অতুলনীয়।” তিনি আরও বলেছেন যে, “বাংলা আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন পেল। মহিলারা যে সম্মান এই রাজ্যে পেয়েছে, তা অতুলনীয়। “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” – এই কথাটি যে কত বড় কথা, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের সম্মান দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই বাক্যকে পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন যিনি, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”