কয়েক ঘন্টায় সব হিসেব যেন বদলে গেল। হাসি মুখে ভুবনেশ্বরে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে পরাজিত বাগান, জিতল ওড়িশা এফসি ( Odisha FC)। কেন হারল মোহনবাগান?
লোপেজ হাবাসের পরিকল্পনায় মাঝমাঠ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মিডফিল্ড জেনারেল জনি কাউকো। ফিনল্যান্ডের এই ফুটবলার দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরেই বদলাতে শুরু করেছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেডের পারফরম্যন্স। সেই তিনি ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে এদিনের ম্যাচে অফ কালার। কাউকো ফর্মে না থাকার প্রভাব পড়ল দলের খেলার ওপর।
জয় পরাজয়ের পিছনে একাধিক কারণ থাকে। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে পরাজয়ের কারণ শুধু কাউকোর অফ ফর্ম হতে পারে না। তবে অন্যতম এক কারণ হতে পারে। জায়গা বুঝে আক্রমণভাগে নিখুঁত পাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে পারদর্শী ফিনিশ ফুটবলার। গোল করাতে বেশি পছন্দ করেন। টিপিক্যাল বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার তাঁকে বলা যায়। মোহনবাগান নিজেদের মধ্যে এদিন প্রচুর পাস খেলেছে। মিস পাস হয়েছে জমাট বাঁধেনি আক্রমণ। আর্মান্দ সাদিকু লাল কার্ড দেখার পর সেই সম্ভাবনা আরও কমে গিয়েছিল। জনি কাউকোকে আজ মাঠ থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন লোপেজ হাবাস।
ওডিশা এফসির কোচ সের্জিও লোবেরার ফুটবল বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। তিনি বুঝেছিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রাণ ভোমরা লুকিয়ে মাঝ মাঠে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে শুরু থেকেই চাপ বাড়ানোর পন্থা অবলম্বন করেছিলেন তিনি। তাতেই হয়েছে কাজ। পরাজিত মোহনবাগান।