ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) দুটো ম্যাচ হতে চলেছে বন্ধ দরজার পিছনে। একটি মোহনবাগানের, অন্য ম্যাচটি ইস্টবেঙ্গলের (Mohun Bagan East Bengal Match)। পাঞ্জাব এফসি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের বাকি দুটি ম্যাচ নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বন্ধ স্টেডিয়ামে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই খবরটা ইতিমধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন। কিন্তু বন্ধ দরজার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দু’টো হওয়ার কারণ কী?
শনিবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে লিগ পর্বে পাঞ্জাব এফসির ম্যাচ রয়েছে। ‘শের’দের আর মাত্র দু’টি ম্যাচ বাকি। মোহনবাগান ম্যাচের পর আগামী ১০ এপ্রিল ইস্টবেঙ্গল এফসির বিরুদ্ধে একটি হোম ম্যাচ রয়েছে পাঞ্জাবের।
পাঞ্জাব এফসি বর্তমানে ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পয়েন্ট তালিকার নবম স্থানে রয়েছে এবং এখনও প্লে অফের জায়গা নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। বাকি দুটি ফিক্সচারে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনের পাশাপাশি, প্লে অফের যোগ্যতা অর্জনের জন্য পাঞ্জাব এফসিকে অন্যান্য ম্যাচের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
তৃতীয় স্থানে থাকা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট শীর্ষয স্থানে থাকা মুম্বাই সিটি এফসির সঙ্গে ব্যবধান কমাতে চাইবে। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের লক্ষ্য লিগ শিল্ড অর্জন করা। এদিকে, বুধবার কোচিতে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি-র বিরুদ্ধে রোমাঞ্চকর জয়ের পরে ইস্টবেঙ্গল এফসি সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। পাঞ্জাব এফসির মতো ইস্টবেঙ্গল এফসিও রয়েছে শেষ ছয়ে যাওয়ার দৌড়ে।
🚨 CLUB STATEMENT 🚨
Due to unforeseen circumstances, the upcoming two home matches of Punjab FC will be played behind closed doors. No spectators will be allowed for both the matches.#PFC pic.twitter.com/e7wylcU5W1
— Punjab FC (@RGPunjabFC) April 4, 2024
পাঞ্জাব এফসি এই মরসুমে ঘরের মাঠে নয়টি ম্যাচ খেলেছে এবং চারটি পরাজয় বরণ করেছে। ঘরের মাঠে তিন ড্রয়ের পাশাপাশি মাত্র দুটি জয় নিজেদের নামে তারা যুক্ত করেছে। সমর্থকদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও স্টাইকোস ভার্জেটিসের দল শেষ দুটি লিগ ম্যাচে তাদের হোম অ্যাডভান্টেজকে কাজে লাগিয়ে পুরো পয়েন্ট পেতে চাইবে।
কিন্তু ম্যাচ দুটো বন্ধ দরজার পিছনে কেন খেলা হচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সম্প্রতি পাঞ্জাব এফসির স্টেডিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বলা বাহুল্য পরিস্থিতি খুব একটা প্রীতিকর ছিল না। তারপরেই রুদ্ধদ্বার ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব এফসি।