মোহনবাগান ক্যান্টিনে যুক্ত হচ্ছে স্পেশাল মেনু, চেখে দেখুন একবার

সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে আড্ডা-খুনশুটি ও খানাপিনার আদর্শ স্থান মোহনবাগান (Mohun Bagan) ক্যান্টিন। দশকের পর দশক ধরে দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কর্মকর্তা এমনকি সমর্থকদের কাছে যথেষ্ট পছন্দের থেকেছে এটি।

Mohun Bagan Canteen

সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে আড্ডা-খুনশুটি ও খানাপিনার আদর্শ স্থান মোহনবাগান (Mohun Bagan) ক্যান্টিন। দশকের পর দশক ধরে দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কর্মকর্তা এমনকি সমর্থকদের কাছে যথেষ্ট পছন্দের থেকেছে এটি। সময় বদলেছে, পুরনো ক্যান্টিন বদলে গিয়ে এখন লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

চকচকে কাঁচের ঘরের পাশাপাশি শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যাবস্থা। সাথে রয়েছে টিভি দেখার ব্যাবস্থা। তবে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুতে বদলের ছোঁয়া লাগলে ও ঠিক আগের মতোই থেকে গিয়েছেন ক্যান্টিনের মালিক কাজু মুখোপাধ্যায়। প্রায় তিরিশ থেকে পয়ত্রিশ বছর হতে চলল মোহনবাগানের এই ক্যান্টিনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।

তবে বয়সের সাথে সাথে একটু শারিরীক সমস্যা দেখা দেওয়ার ফলে, এখন কিছুদিন বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। সেকারণে বাড়িতে বসেই দেখেছেন দলের আইএসএল ফাইনাল। তবে মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পর থেকেই শোনা যায়, ক্যান্টিনে এবার স্পেশাল খাবার হতে চলেছে সমর্থকদের জন্য। জিজ্ঞেস করা হলে বিশেষ করে চিংড়ির মালাইকারির উপর বেশি জোর দেন তিনি। কারন মোহনবাগান মানেই তো চিংড়ি। এছাড়াও ক্যান্টিনে থাকছে চিকেন স্টু, ফিস চপ ও ডিমের ডেভিলের মতো আইটেম গুলো। এছাড়া চা ও কফি তো ম্যান্ডেটারি।

বর্তমানে এটিকে মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ফলে সমর্থকরা যতটা খুশি হয়েছেন, তার থেকে ও বেশি খুশি হয়েছেন নামের আগে ‘এটিকে’ উঠে যাওয়ার সুবাদে। তাই এই শুভ মুহুর্তে ক্যান্টিনে স্পেশাল কিছু হবে না তা হতেই পারে না। সেজন্যই চিংড়ির মালাইকারি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন কাজু বাবু। তবে এখন পাঁচ তারার যুগ। দলের খেলোয়াড়রা ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করেন ঠিকই, কিন্তু তাদের খানাপিনা হয় শহরের পাঁচতারা হোটেলে। তাই এই স্পেশাল মেননু আদৌ দলের খেলোয়াড়দের কতটা আকর্ষন করবে, এখন সেটাই দেখার।