Mohun Bagan: ময়দানের হিংসা রুখতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ সবুজ-মেরুন ব্রিগেড

ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে প্রত্যেকবারই ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দেয় মোহন-ইস্ট ম্যাচে। ডুরান্ড কাপ হোক কিংবা হিরো আইএসএল অথবা সুপার কাপ।

Mohun Bagan, Chief Minister,

ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে প্রত্যেকবারই ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দেয় মোহন-ইস্ট ম্যাচে। ডুরান্ড কাপ হোক কিংবা হিরো আইএসএল অথবা সুপার কাপ। দুই প্রধানের লড়াই থাকলে প্রায় এক লক্ষ লোক অনায়াসেই হাজির হতে পারেন যেকোনো স্টেডিয়ামে। বিগত কয়েক বছরের নিরিখে এক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল দলের তুলনায় মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস এগিয়ে থাকলেও এবারের ডুরান্ড কাপের শুরুতেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে মোহনবাগান দলকে হারিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দল। তবে ফাইনাল ম্যাচে ফের তাদের কাছে পরাজিত হতে হয় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। তারপর থেকেই বারংবার দুই দলের সমর্থকদের নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্টেডিয়াম সংলগ্ন চত্বর।

বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হতে থাকে সেই সম্পর্কিত বহু ভিডিও। যেখানে বারংবার মোহনবাগান সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হতে দেখা যায় লাল-হলুদ সমর্থকদের। তাদের জার্সি ছেড়া থেকে শুরু করে মারধর করা। বহু জিনিসের সাক্ষী থেকেছে নেটিজেনরা। এসব নিয়েই গতকাল বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল লাল-হলুদ শিবির। সেখানে সেই সমস্ত ভিডিও ফুটেজ সহ গোটা বিষয়টি নিয়ে লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “কাদাপাড়ার এই ঘটনা নতুন নয়। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে চলে আসছে। আমাদের তরফ থেকে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ককে বহুবার জানানো হয়েছে।এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ম্যাচের আগে প্রশাসনের কাছেও দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবার যখন মিটিং করা হয় খেলার আগে, তবে কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমাদের একটাই পথ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়া। পাশাপাশি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানানো। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা চিঠি দেব। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি আমরা উল্লেখ করতে চাই। এক্ষেত্রে ওনার সিদ্ধান্তের উপর সমস্ত কিছু রয়েছে।”

এবার সেই পথেই হাঁটছে ময়দানের আরেক প্রধান তথা মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। ময়দানের এই হিংসার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন,”বর্তমানে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। যারাই করে থাকুক তারা আইন ভঙ্গ করেছে। এক্ষেত্রে তারা যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের যৌথ আলোচনায় আমি সহমত।

এক্ষেত্রে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথে যদিও কোনো রকমের আলোচনা হয় সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় যৌথভাবে একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত। যে এরকম ঘটনা ময়দানে কখনোই কাম্য নয়। পাশাপাশি এক্ষেত্রে সাধারণ সমর্থকদের ও সচেতন থাকা উচিত। তাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন আজ আপনি জিতে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মারধর করলে পরবর্তীতে তারা ও জিতে আপনাকে মারধর করতে পারে। তাই লড়াই যেন শুধুমাত্র মাঠেই থাকে সেদিকেই নজর রাখতে হবে।”