আইএসএলের নবম ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC) এবং বেঙ্গালুরু এফসি। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ছিল বিশেষ আগ্রহ, কারণ এটি ছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলা। প্রথম থেকেই ম্যাচটি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে, এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব তাদের শক্তি প্রমাণ করতে শুরু করে।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফরোয়ার্ড লবি মানজোকির অনবদ্য গোল দলের জন্য প্রথম আঘাতটি হানে। মাত্র ৮ মিনিটে তাঁর করা গোলটি মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এর মাধ্যমে তারা এক গোলের ব্যবধানে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এগিয়ে যায়। এই গোলের ফলে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায় এবং তারা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
এদিকে বেঙ্গালুরুর পক্ষ থেকে গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সিন্ধু ছিলেন অসাধারণ। বেশ কয়েকটি শট আটকানোর মাধ্যমে তিনি বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগকে অটুট রাখার চেষ্টা করেন। আলবার্তো নগুয়েরা এবং জর্জ পেরেইরা দিয়াজের মতো তারকা ফুটবলাররা বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলেও, সেগুলো পোস্টে স্থান পায়নি। এই কারণে প্রথমার্ধ শেষে এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে মহামেডান।
দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরুর কোচ জেরার্ড জারাগোজা তাদের আক্রমণ আরো তীব্র করতে সুনীল ছেত্রী এবং পেদ্রো কাপোর মতো খেলোয়াড়দের মাঠে নামান। সুনীল ছেত্রী মাঠে থাকলে দলের আক্রমণ শক্তি আরও বাড়ে, তবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের রক্ষণ ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেঙ্গালুরুর আক্রমণ আরও তীব্র হতে শুরু করলেও মহামেডানের রক্ষণভাগ দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফ্রাঙ্কা, ফানাই ও অন্যান্য আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়দের তীক্ষ্ণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, গোল পোস্টে সঠিক শট নিতে ব্যর্থ হন বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা। এতে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্কোরলাইন অপরিবর্তিত থাকে।
এখনও পর্যন্ত এই ম্যাচে কোনো পক্ষের পক্ষেই ফলাফল নির্ধারিত হয়নি। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব তাদের গোলের ব্যবধান বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্যদিকে বেঙ্গালুরুর জন্য এটি সমতা আনার একটি কঠিন লড়াই হতে পারে। সুনীল ছেত্রীদের চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও মহামেডান তাদের রক্ষণে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। এটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ একটি ম্যাচ, যার ফলাফল এখনও অজানা।