এগিয়ে চলেছে মহামেডানের (Mohammedan SC) জয় রথ। কলকাতা লিগের অনবদ্য পারফরম্যান্স করার পর এবার আইলিগে ও দাপুটে পারফরম্যান্স সাদা-কালো শিবিরের। গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে তারা পরাজিত করে শক্তিশালী আইজল এফসিকে। ম্যাচের ঠিক সাত মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তারকা ফুটবলার স্যামুয়েল।
যারফলে, ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় দল। তারপর থেকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে ঘনঘন আক্রমণ ঘনিয়ে আসতে থাকে প্রবলভাবে। যার প্রভাব ও দেখা দেয় কিছুক্ষণ পরে। ম্যাচের ঠিক বারো মিনিটের মাথায় গোল করে আইজল এফসিকে সমতায় ফেরান দাপুটে ফুটবলার লালরিনফেলা। তবে ২৮ মিনিটের মাথায় অ্যালেক্সিস গোমেজ। তার করা গোলে ফের এগিয়ে যায় মহামেডান। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ২-১ গোল। প্রথমার্ধের শেষে বজায় থাকে এই ফলাফল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই পক্ষের তরফ থেকে একাধিকবার গোলের সুযোগ আসলেও কাজে দেয়নি কোনো কিছু।
আসলে প্রথমার্ধের শেষে অনবদ্য লড়াইয়ের পর আইজল ফুটবল দল কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফের খেলায় ফিরে আসার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু সাদা-কালো শিবির থেকে খেলোয়াড় বদল করে দাপুটে ফরোয়ার্ড ডেভিড লালাসাঙ্গা মাঠে নামতেই নতুন করে ফের চাপ বাড়তে থাকে আইজলের রক্ষনভাগে।
এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি ওপেন স্পেস পেয়ে মহামেডান দলের ফুটবলাররা প্রবলভাবে আক্রমনে উঠে আসতে শুরু করলেও সুযোগ বুঝে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন আইজল দলের গোলরক্ষক। একের পর এক দূরন্ত সেভের দরুন কেটে যায় বিপদ। তার এই অনবদ্য পারফরম্যান্স সহজেই নজর কেড়েছে সকলের। তবুও ভালো লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি। জয় এসেছে সাদা-কালো শিবিরের।
পরবর্তীতে এই নিয়ে মুখ খোলেন মহামেডান কর্তা বিলাল আহমেদ খান। তিনি বলেন, দলের প্রথম ম্যাচ তাই বোঝাপড়ার খানিকটা সমস্যা দেখা দিতেই পারে। যতই দল অনুশীলন করুক না কেন। ম্যাচ আলাদা অনুশীলন আলাদা। তবে আজ ম্যাচের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের দল যথেষ্ট ভালো খেলেছে। বহুবার আক্রমণে উঠেছে। ওদের তরফ থেকে ও একটা গোল হয়েছে। একটা বারে লেগে বেড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়াও দুই থেকে তিনবার ওরা আক্রমণ করেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরাই খেলেছি। আমরাই বেশি চাপ দিয়ে রেখেছিলাম। তবে যতদিন এগোবে দল যথেষ্ট ভালো খেলবে বলেই আমি মনে করি।