শেহওয়াগের আসন টলিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েও রইলেন পরাক্রমী আফগান

মহম্মদ নবী (Mohammad Nabi ) ২০৩.১২ স্ট্রাইক রেটে ৩২ বলে ৬৫ রান করে আফগানিস্তানের পক্ষে রানের গতি বজায় রেখেছিলেন।

Mohammad Nabi Afghan Batsman

এশিয়া কাপ ২০২৩ এর সুপার ফোর রাউন্ডে পৌঁছানোর জন্য আফগানিস্তানকে ৩৭.১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করতে হয়েছিল। মহম্মদ নবী (Mohammad Nabi ) ২০৩.১২ স্ট্রাইক রেটে ৩২ বলে ৬৫ রান করে আফগানিস্তানের পক্ষে রানের গতি বজায় রেখেছিলেন। আফগানিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন নবী। যদিও দলগত প্রচেষ্টায় সুপার ফোরে পৌঁছতে পারেনি আফগানিস্তান।

২৫৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন নবী এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ২৪ বলে পঞ্চাশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এই ইনিংসের সুবাদে দেশের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটসম্যান হয়েছেন আফগানিস্তানের এই প্রাক্তন অধিনায়ক।

   

আফগানিস্তানের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে হাফ-সেঞ্চুরি:-

  • ২৪ বল – মহম্মদ নবী বনাম শ্রীলঙ্কা, লাহোর, ২০২৩
  • ২৬ বল – মুজিব উর রহমান বনাম পাকিস্তান, কলম্বো, ২০২৩
  • ২৭ বল – রশিদ খান বনাম আয়ারল্যান্ড, আবুধাবি, ২০২১
  • ২৮ বল – মহম্মদ নবী বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে, ২০১৪
  • ২৮ বল – শফিকুল্লাহ শিনওয়ারি বনাম আয়ারল্যান্ড, গ্রেটার নয়ডা, ২০১৭

এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পঞ্চাশ করে নবী আরও একটি মাইলফলক অর্জন করেছিলেন। তা হলো ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটের বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, আফগানিস্তানে রশিদ খান এবং পাকিস্তানের মঈন খানকে পেছনে ফেলে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদির পর এশিয়া কাপের ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে (ন্যূনতম ৩০ বল মুখোমুখি) ব্যাট করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হয়েছেন তিনি।

এশিয়া কাপের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট (ওডিআই)

  • ২০৬.৬৬ – শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান) বনাম বাংলাদেশ, ডাম্বুলা, ২০১০
  • ২০৩.১২ – মহম্মদ নবী (আফগানিস্তান) বনাম শ্রীলঙ্কা, লাহোর, ২০২৩
  • ১৮০.৬৪ – মঈন খান (পাকিস্তান) বনাম শ্রীলঙ্কা, ঢাকা, ২০০০
  • ১৭৮.১২ – রশিদ খান (আফগানিস্তান) বনাম বাংলাদেশ, আবুধাবি, ২০১৮
  • ১৭৭.২৭ – বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (ভারত) বনাম হংকং, করাচি, ২০০৮।