Khalid Jamil: বড় সুযোগ হেলায় হারালেন ইস্ট-মোহনের প্রাক্তন কোচ

সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে জিতেছিলেন আই লীগ। আই লীগ তখন ভারতের সর্বোচ্চ ফুটবল টুর্নামেন্টে। ক্রমে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছিলেন একাধিক বড় দলে। ভারতের জাতীয় দলের হেড…

Khalid Jamil

সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে জিতেছিলেন আই লীগ। আই লীগ তখন ভারতের সর্বোচ্চ ফুটবল টুর্নামেন্টে। ক্রমে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছিলেন একাধিক বড় দলে। ভারতের জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার অন্যতম দাবিদার হিসেবে ফুটবল প্রেমীদের একাংশ গণ্য করতেন তার নাম। সেই খালিদ জামিলের (Khalid Jamil) কোচিং কেরিয়ার গ্রাফ এখন ক্রমে নামছে নীচের দিকে। ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না।

মাসখানেক আগে নেপালের প্রথম সারির ক্লাব এফসি চিতওয়ানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরই মধ্যে চাকরি গেল তার। মাঝে হয়তো চার সপ্তাহের ব্যবধান। ফের নতুন চাকরি খুঁজতে হবে খালিদকে। ঠিক কী কারণে নেপালি ক্লাবের সঙ্গে খালিদের দূরত্ব তৈরি হল সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

   

খালিদ জামিল ভারতীয় ফুটবল সার্কিটে খুব পরিচিত নাম। তরুণ বয়সে তিনি নিজে একজন ফুটবলার ছিলেন, খেলতেন মাঝমাঠে। ভারতীয় ফুটবলের এক সময়কার নামকরা শীর্ষ ক্লাব মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড এবং এয়ার ইন্ডিয়ার হয়ে খেলেছিলেন। যদিও একজন খেলোয়াড়ের চেয়ে প্রধান কোচ হিসাবে তার পরিচিতি বেড়েছিল অনেকটা। খালিদ এশিয়ার সর্বোচ্চ কোচিং লাইসেন্স এএফসি প্রো লাইসেন্সধারী এবং ভারতীয় ফুটবলে মনে রাখার মতো কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন।

খালিদ ২০০৯ সালে মুম্বই এফসির সাথে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের কোচ ছিলেন। ২০১৬ সালে আইজল এফসিতে যোগ দেন। এখানেই কেরিয়ারের সবথেকে বড় সাফল্য পেয়েছিলেন। আইজলের দায়িত্বে থাকার সময় দেশের অন্যতম সেরা কোচের তকমা পেয়েছিলেন খালিদ। আইজল এফসির হয়ে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও আই-লিগ জিতেছিলেন। পরের দুই মরসুমে জামিল কলকাতার দুই প্রধানের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৭-১৮ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল এবং ২০১৮-১৯ মরসুমে অল্প সময়ের জন্য মোহনবাগানের কোচের পদে দায়িত্ব সামলেছিলেন।